জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা উধাও

২৫ মার্চ ২০২৪, ৭:৩৭:৩৩

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার  টাকার হদিস নেই। টাকা উধাওয়ের ঘটনায় এরই মধ্যে তদন্ত টিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। টাকার অনুসন্ধানে কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে তামাই শাখার ব্যাংক ব্যবস্থাপকসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, ওই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম, ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম।

এর আগে ব্যাংকটির সিরাজগঞ্জের এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, তামাই শাখায় লেনদেন নিয়ে সন্দেহ হলে গত রবিবার সেখানে যান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। অডিট শেষে তারা ৫ কোটি বাইশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার হিসাব গড়মিল পান। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তোর দিতে পারেনি। পরে তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাতে পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত সে কারণে অভিযোগটি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগসহ তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আমাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। যেহেতু এটি ব্যাংকিং অর্থনৈতিক হিসাব তাই বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তদের জেলে পাঠানো হয়।’

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে তামাই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছেন কামরুল হাসান। এ সময় দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত টিম কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো দুই তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।