হাসিনার মামলায় পিনাকীর আটকের বিষয়ে যা জানা গেল

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘শেখ হাসিনার মামলায় ফ্রান্সে আটক পিনাকী ভট্টাচার্য’— এমন দাবি সম্বলিত একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে ভিডিওটির দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আলোচিত ভিডিওটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এতে চ্যানেল ২৪ ও সময় টিভির পুরোনো দুটি প্রতিবেদনের অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিক মাসুদ কামালের বক্তব্য সংযোজন করা হয়েছে, যা মূল প্রেক্ষাপট থেকে বিচ্ছিন্ন করে সম্পাদনা করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিম চ্যানেল ২৪-এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৮ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন শনাক্ত করে, যার একটি অংশ ওই ভাইরাল ভিডিওতে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল, ঢাকার রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে সেখানে পিনাকীর আটক হওয়ার কোনো তথ্য ছিল না।
অন্যদিকে, সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ফুটেজও ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্যারিসের আদালতে পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা মামলা দায়ের করেন। শেখ হাসিনার করা কোনো মামলার কথা সেখানে উল্লেখ ছিল না।
এছাড়া, ইউটিউবে IBTV USA নামের একটি চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ভিডিও থেকে সাংবাদিক মাসুদ কামালের বক্তব্যের অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মূল ভিডিওতে তিনি কোথাও বলেননি যে পিনাকী ভট্টাচার্য ফ্রান্সে আটক হয়েছেন।
সবশেষে, পিনাকী ভট্টাচার্যের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৫ সালের ৭ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাকে স্বাভাবিকভাবে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে— যা প্রমাণ করে তিনি আটক নন।
ভিডিওটি পুরোনো সংবাদ ও ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ফুটেজ জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ফ্রান্সে পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করেননি, এবং পিনাকী ভট্টাচার্যও আটক নন।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।