নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র এখনো মাঠে নামায়নি ইরান

ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে একের পর এক পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও ইরান এখনো তাদের নতুন প্রজন্মের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করেনি বলে জানিয়েছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সির।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে অঘোষিত আগ্রাসন শুরু করে। পারমাণবিক কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহীদ হন ইরানের বহু সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এয়ারোস্পেস ইউনিট তখনই পাল্টা প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়ে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-এর আওতায় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ১৩ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পাল্টা হামলার ১০টি বৈশিষ্ট্য ইসরায়েলের আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কার্যত অকার্যকর করে দিয়েছে। সেগুলো হল-
১/ রাত ও দিনে যেকোনো সময় ইরান হামলা চালাচ্ছে, ফলে ইসরায়েল তাদের প্রতিরক্ষা কৌশল পুনর্গঠনে ব্যর্থ।
২/ প্রকৃত হামলার পাশাপাশি চালানো হয় বিভ্রান্তিমূলক আক্রমণ, যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করছে।
৩/ ব্যালিস্টিক মিসাইল, আত্মঘাতী ড্রোনসহ নানা ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করছে ইরান।
৪/ টিএইচএএডি, আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিং সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করেছে ইরানি মিসাইল।
৫/ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কখনো একসঙ্গে, কখনো বিচ্ছিন্নভাবে ছোঁড়া হচ্ছে। একটানা নয়।
৬/ প্রতিবার নতুন নতুন লক্ষ্যবস্তু বেছে নিচ্ছে ইরান, যা ইসরায়েলকে অপ্রস্তুত রাখছে।
৭/ হামলার এলাকা সীমিত নয়, উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুরো দখলকৃত ভূখণ্ডই টার্গেট।
৮/ লক্ষ্যবস্তুর ডেটাব্যাংক রয়েছে ইরানের হাতে, তেল শোধনাগার, সামরিক ঘাঁটি, অবকাঠামো, কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
৯/ ইরান বারবার সতর্ক করছে, ‘দখলকৃত ভূখণ্ডে এখন আর কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়’।
১০/ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নতুন প্রজন্মের দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এখনো ব্যবহৃতই হয়নি।
বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের এই ধারাবাহিকতায় ইরান ভবিষ্যতে আরও চমক দিতে পারে ইসরায়েলি শাসকদের। আর সেই চমক হতে পারে তাদের এখনো-অপ্রকাশিত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ব্যবহার।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।