বৈধ পথে দেশে কমছে আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণ, ১০ বছরে কমেছে দশ গুন
এবার বৈধ পথে কমে আসছে দেশে আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণ। গেলো ১০ বছরে যা কমেছে আট থেকে দশ গুন। যুগোপযোগি নীতির অভাব, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা ও প্রযুক্তির প্রসারে কঠিন হয়ে পড়ছে আইজিডব্লিও অপারেটরদের ব্যবসা। মরার ওপর খাড়ার ঘা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির দ্বৈত আচরণ।
এদিকে বৈধপথে দেশের বাইরে থেকে আন্তর্জাতিক কল আসা-যাওয়ার মাধ্যম ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে- আইজিডব্লিও। যাতে যুক্ত রয়েছে বেসরকারিখাতের ২৩টিসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান-বিটিসিএল। গেলো এক দশক ধরে বিদেশী অন্তর্গামী কল নির্ভর এই খাতের সেবা ও ব্যবসার পরিধি সময়ের সাথে সাথে সংকুচিত হয়ে আসছে।
আইজিডব্লিও অপারেটরস ফোরাম-আইওএফের তথ্য বলছে, একটা সময় দৈনিক গড়ে ৮ থেকে ১০ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক আগমনী ও বহির্গামী কলের ব্যবসা থাকলেও বর্তমানে তা নেমেছে ১ কোটিতে। এসব কলের অর্ধেকই আবার আসে সরকারি সংস্থা বিটিসিএলের মাধ্যমে। লভ্যাংশের ৪০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রশ্ন উঠেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে।
ইউনিক ইনফোওয়ে লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ রব্বানী বলেন, প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, তবে শেষ ৬ মাসে বেশি কমেছে। অনৈতিক বিষয়গুলোর বিষয়ে বিটিআরসি যদি পজেটিভ পদক্ষেপ নেয় তাহলে পুরো সেক্টরের জন্য ভালো।
প্রযুক্তির প্রসারে ক্রমশই যখন ছোট হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক কলের ব্যবসা, তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির বিরুদ্ধে ব্যবসা পরিচালনায় দ্বৈত নীতির অভিযোগ আইওএফের।সংস্থাটির সিওও মুশফিক মনজুর মতে, অবৈধ ভিওআইপির ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারির অভাবে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি আইজিডব্লিও খাতের বিকাশে ট্যারিফ হালনাগাদের দাবি জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।