বুবলীর অভিযোগে দু’জনকে সতর্ক করল পুলিশ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা, বানোয়াট, অরুচিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগে জিডিটি করেছেন তিনি। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট অভিনেতা সুরুজ বাঙ্গালী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মৌ সুলতানাকে ডেকে সতর্ক করেছ।

সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। তিনি জানান―এটি কগনিজেবল অফেন্স (আমলযোগ্য অপরাধ) না, এ কারণে তাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব করলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

এসপি নাজমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তারাও বুঝতে পেরেছেন এবং এ কারণে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। আর কখনো এমনটা করবেন না বলেও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগের সাইবার ইউনিট এক বিবৃতিতে জানায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে পাওয়া অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় রোস্টিংয়ের নামে সংস্কৃতি কর্মীদের টার্গেট করে অবিরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও বলা হয়েছে, সম্প্রতি অভিনয়শিল্পী শবনম বুবলী এ ধরনের অপরাধের শিকার হয়েছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন পুরুষ অভিনেতা ও একজন নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারণ ভুক্তভোগী বা সংস্কৃতি কর্মী, সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে সাইবার সেবা।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা থানায় জিডি করেন শবনম বুবলী। জিডিতে লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরে কিছু ব্যক্তি, অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এ অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি।