অনুরোধেও গতি কমায়নি বাসচালক: বাবা নিহত, মা-ছেলে মুমূর্ষু

২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২:০৬:৩১

বাবা গোলাম রহমান শিকদার অসুস্থ। সেজন্য ভারতীয় ভিসা করাতে গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ যাচ্ছিল দ্বাদ্বশ শ্রেণির ছাত্র রাসেল শিকদার ও তার মা শাহানাজ পারভীন। মঙ্গলবার রাতে বাবার কর্মস্থল চট্টগ্রাম থেকে ইউনিক পরিবহনের বাসে ওঠার পর থেকেই চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল।

চালককে বারবার নিষেধ সত্ত্বেও না শোনায় চাচাকে ফোনে অভিযোগও করে রাসেল। বারবার মানা করে কাজ না হলে চাচার পরামর্শে বাস মালিকে ফোন দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। শেষমেশ মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়।

আর এ দুর্ঘটনাই কেড়ে নেয় রাসেলের বাবা গোলাম রহমানের প্রাণ। রাসেল ও তার মাসহ অন্তত ১০ যাত্রী গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যালে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মামলা করেছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী বোঝাই করে বরিশালের বাকেরগঞ্জ আসে ইউনিক পরিবহনের বাসটি। শুরু থেকেই দ্রুতগতিতে চলছিল। দুর্ঘটনার পর বাসচালক কৌশলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের একটি দল আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

মামলার বাদী ও নিহতের ভাই গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমার ভাতিজা রাত ২টার সময় ফোন দিয়েছিল গাড়ি অনেক দ্রুত চালাচ্ছে। আমি তখন বলেছিলাম গারির মালিককে ভয় দেখাতে। তবে কোনো কিছু বলেই লাভ হয়নি। রাত ৪টায় ভাতিজা ফোন দিয়ে বলে- দুর্ঘটনা ঘটেছে, আব্বা আর নেই!

শিবচর হাইওয়ে থানার এসআই তমাল সরকার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।