অব্যবহৃত যাত্রী ছাউনি, যেখানে থামে না নগর পরিবহনের বাস

ঢাকা: অপরিকল্পিতভাবে তৈরী হয়েছে মোহাম্মাদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঘাটারচর পর্যন্ত বাস স্টপেজ৷ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের এ বাস স্টপেজগুলোর অধিকাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে ময়লার ভাগাড়, সিএনজি স্টেশন কিংবা কাঁচাবাজার হিসেবে। মোহাম্মাদপুর থেকে ঘাটারচর পর্যন্ত প্রায় ৬টি বাস স্টপেজ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
মূলত নগর বাস সার্ভিস চালুর পূর্বে শৃঙ্খলা আনতে তৈরী হয়েছিল এ স্টপেজগুলো৷ তবে বর্তমানে সেগুলোতে থামে না একটিও বাস। ফলে এগুলো জনসাধারণ অন্য প্রয়োজনে ব্যবহার করছে।
মোহাম্মাদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রথম বাস স্টপেজটি কাঁচাবাজার, বিপরীত পাশের স্টপেজটি কোন প্রয়োজন ছাড়ায় পড়ে আছে, চার রাস্তা পার হয়ে বাম পাশের স্টপেজটি সিএনজিদের দখলে, বিপরীত পাশের স্টপেজটির সামনে মাটির স্তূপ। এভাবে প্রত্যেকটি স্টপেজ কোন না কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে।
নগর বাস সার্ভিসটি প্রথম প্রথম শৃঙ্খলা আনতে কঠোরতা করলেও মানুষের প্রয়োজনে বাধ্য হয় স্টপেজ ছাড়া নামাতে। এ বিষয়ে মাহমুদ নামক এক যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়- আমাদের প্রয়োজন বছিলা নামার, কিন্তু বাস স্টপেজটি অনেক আগে তৈরী করা। আমাদের কাছে থাকা মাল ছামানা নিয়ে কিভাবে বছিলা রিক্সা স্ট্যান্ডে পৌঁছবো।
আরেক যাত্রী সুমনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন- আসলে আমাদের প্রয়োজনটাকে সামনে রেখে স্টপেজগুলো তৈরী করে নি। তারা তাদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ স্থানকে বেছে নিয়ে স্টপেজ তৈরী করেছে। আমরা নিয়ম মানলে সব ঠিক।
তবে দেখার বিষয় স্টপেজগুলো অন্য কাজে ব্যবহার হলেও এতে কোন পদক্ষেপ নেয় নি সিটি কর্পোরেশন কিংবা সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তাই সুযোগ হাতছাড়া না করে অনায়াসে দখল করে ব্যবহার করে কেওবা কাঠের ব্যবসা শুরু করেছে এ স্থানে। এমন চিত্র দেখা যায় আরশী নগর কাউন্টার রেখে। এ কাউন্টারের বিপরীত পাশের স্টপেজটি নিয়মিত ব্যবহার হলেও অব্যবহৃত থেকে গেল এ স্টপেজটি।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য