প্রচ্ছদ / রাজনীতি / বিস্তারিত

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আ. লীগ বলে কোনো দল থাকবে না: রিপন

৫ জুলাই ২০২৫, ২:২৩:৩৭

সংগৃহীত

এবার জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।শুক্রবার (০৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন’ আয়োজিত এক প্রতীকী তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সারা দেশের বিভিন্ন স্তরে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের গ্রেপ্তার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দ্রুত সৃষ্টি করার দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

রিপন বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে যদি কোনো রাজনৈতিক দল অবস্থান নেয়, সেই দল অটোমেটিকেলি বিলুপ্ত হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ভুল রাজনীতি, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও লুটপাট করেছে। এ ছাড়া জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না। এটা নিষিদ্ধ করা না করার বিষয় নয়। তাদের ভুলের রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সমর্থন করবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলাদেশের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমরা বিজয় লাভ করেছিলাম ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। যে আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল ১৭ বছর আগেই। এ বিজয়ের মধ্যে আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো ছিল মানুষ শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবে। এমপি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি যারা হবেন, তারা নিজেদেরকে যেন মোগল সম্রাট হিসেবে না ভাবেন-সেই ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিসহ সরকারি কর্মকর্তারা জবাবদিহিতার আওতায় আসবেন। সমস্ত কিছুর মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে এবং সরকার জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবে। রাষ্ট্র যখন গণতান্ত্রিক হয় সরকার তখন জবাবদিহি করতে বাধ্য হয়।

বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এই যে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরিবর্তনটি হয়েছে, এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা সংস্কার চাই। এ মহা চোরদেরকে আমাদেরকে আটকাতে হবে। কীভাবে আটকাবেন। বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। আমার দলও অনেক সময় বলে না ২০০৯ সালেও মহা ডিজাইন করে একটি নির্বাচন হয়েছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার পুনর্বাসিত করার জন্য। ২০০৮-৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরিকল্পনা করে হয়েছিল- বাংলাদেশটা যেন ভারতের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়ে যায়। ভারতের কর্তিত্ববাদ যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই উদ্দেশ্যে ১/১১ সৃষ্টি হয়েছিল এবং সেই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য ২০০৮-০৯ সালে যেই নির্বাচন হয়েছিল, তার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অবৈধ শাসন পাকাপোক্ত হয়েছে দীর্ঘ বছরের পর বছর। আজকে সেই অবস্থার বিলুপ্তি ঘটেছে।

আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ২০২৬ সালে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা একতরফা হবে কিনা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর মুসলিম লীগের ভুল রাজনীতির কারণে তাদের রাজনীতি বিলুপ্ত হয়ে গেল। রাজনীতি যদি ভুল হয়, জনগণের বিরুদ্ধে যদি কোনো রাজনৈতিক দল অবস্থান নেয়, সেই দল অটোমেটিকলি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ও তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন বলেন, দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্রও হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে অহেতুক বিলম্বিত করবেন না। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। গত ১৭ বছর ভোটাধিকার বঞ্চিত মানুষ এখন ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য