সুন্নতে খতনার সময় শিশুর পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন করলেন হাজাম

ছবি: সংগৃহীত
১১ বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন এক হাজাম (খতনাকারী)। রোববার (১৪ এপ্রিল) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলাটির রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের প্রয়াত আইয়ুব আলীর ছেলে জাহিদ হাসান নির্জনের খতনা করানো হয়। উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতন চর-আলগী গ্রামের খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন।
রক্তক্ষরণ শুরু হলে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয় শিশুটিকে। সেখানে শিশুটির লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আবুল হাসান শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা করান। তিনি বলেন, খতনা করাতে গিয়ে শিশুটির পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলায় রক্তাক্ত অবস্থায় আনা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। সোমবার শিশুটির বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড়িতে কেউ নেই। সবাই ঢাকায় শিশুটির পাশে ঢাকায়। আহত শিশুর চাচাতো বোন নাদিরা বেগমের বলেন, আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। আমরা কথিত খতনাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে শিশুটির খতনাকারী আকবর আলী বলেন, আমি ৩৫ বছর ধরে এ কাজ করি। নানা-দাদাদের কাছ থেকে শিখেছি। আমার চাচা-চাচাতো ভাইসহ অনেকে এ পেশায় জড়িত। এ ধরনের ঘটনার আগে কখনও ঘটেনি। কীভাবে কী হয়ে গেল আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য