সোমবার ৯ জুন, ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সায়েদাবাদ-গাবতলীতে নেই যাত্রীর চাপ

১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১:৫৬:৪০
ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আগের দিন গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ কম দেখা গেছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) কাউন্টারগুলোতে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে তারা জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়েই বাস ছেড়ে যাচ্ছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি গাড়ি অপেক্ষমান থাকলেও যাত্রীর চাপ কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে বাস কাউন্টারের স্টাফরা।

দেখা গেছে, গাবতলী স্টেশনে কোন যাত্রী আসলেই, হাঁক ছাড়ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কাউকে টেনে আনছেন কাউন্টারের কাছে। ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এবার আগেভাগেই গ্রামে গেছেন মানুষ। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে বাস পেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। আর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাবতলীতে আসতে পোহাতে হচ্ছে বকশিস বিড়ম্বনা।

মিরপুর ৬০ ফিট থেকে গাবতলী এসেছেন মাগুরা যাবেন আহমেদ শেখ ও তার স্ত্রী। তিনি বলেন, সব খানেই বকশিস। ১৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিলাম ২৫০ টাকা। অন্য সময় ৫৫০ টাকা ভাড়া, আজ নিল ৭০০ টাকা। আবার বলে চার্টের ভাড়া নিয়েছি, বকশিস দেন।

ফরিদপুর যাচ্ছেন চম্পা ও তার স্বামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনে। তিনি বলেন, অন্য সময় ৩৫০ টাকা ভাড়া হলেও আজ নিচ্ছে ৫০০ টাকা। ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেলে ৩০০ টাকায় যাওয়া যেতো। কিন্তু সঙ্গে রোগী থাকায় ভেঙ্গে গেলাম না।

অভিযোগ করে চাকরিজীবী আমিনুল হক বলেন, ভাড়া প্রতি ঈদেই পরিবহনের লোকেরা বেশি নেয়। চার্টের কথা বলে, এই চার্টেই তো ভাড়া বেশি রাখা হয়েছে।

সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভাড়া বেশি রাখার সুযোগ নাই। বিআরটিএ, পুলিশ, মিডিয়া সবাই আছে। একটাকা বেশি রাখছিনা। কাউন্টারে যাত্রী কম জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে ৮টা গাড়ি গেছে। সবগুলোই যাত্রী পূর্ণ করে গেছে। দুপুরে আরও ২টা গাড়ি আছে। সেগুলোর কোন স্ট্যান্ডিং টিকেট নাই।

গোপালগঞ্জগামী সেবা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিকালে ২-৩টা বাস আছে। বাসের কয়েকটা টিকিট বিক্রি হয়নি। এবার যেহেতু লম্বা ছুটি যাত্রীরা আগেই বাড়ি গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়ায় আমরা ট্রিপের বাইরে নতুন কোনো বাস নামাতে পারিনি।

এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. নজরুল বলেন, সকালে কিছু যাত্রী ছিল। এখন সেটাও নেই। সময় যতো বাড়বে যাত্রী চাপ ততো কমবে। আমরা ট্রিপও সেজন্য এখন কমাব। যাত্রীর চাপ না থাকলে বাড়তি গাড়ি ছেড়ে তো লাভ নেই।

শ্যামলি কাউন্টারের মোফাজ্জল বলেন, যাত্রী কম। সকাল থেকে অনেক গাড়িই ছেড়েছে। কিন্তু যাত্রী সেভাবে হয়নি। সকাল থেকে আমার কাউন্টারে মাত্র ১৩টা টিকিট বিক্রি করেছি। মনে হয় দুপুরের পর যাত্রী পাওয়াই যাবে না।

এস আলম পরিবহনের ম্যানেজার মোহাম্মদ নাইম বলেন, সকাল থেকে টুকটাক যাত্রী গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন যাত্রী কম। বাস যাচ্ছে, কারণ অন্য জায়গার কাউন্টার থেকেও যাত্রী উঠবে। কিন্তু সায়দাবাদে যে পরিমাণ যাত্রী থাকে তেমন তো পাচ্ছি না।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চট্টগ্রাম যাচ্ছে আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত অফিস ছিল। তাই ভাবলাম আজ যাত্রীদের চাপ কম থাকবে, সেজন্য আজকে যাচ্ছি। যাত্রীর চাপ নেই, তাই যানজটহীনভাবে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারব বলে আশা করি।

অনেক যাত্রী শেষ দিনেও বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ তুলেছেন । যাত্রীরা বলছেন, ঈদে বাড়ি ফেরা জরুরি, সেই সুযোগ নিচ্ছে বাস কর্তৃপক্ষ। বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন তারা। অন্যদিকে বাস কর্তৃপক্ষ বলছে, কোন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। যেটা ন্যায্য ভাড়া সেটাই নেওয়া হচ্ছে।

ঈদের আগে শেষ দিনের যাত্রায় লঞ্চঘাটেও নেই বাড়তি চাপ। তবে ঢাকা-চরফ্যাশন রুটের কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চটি যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি না ছাড়ায় যাত্রীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছেড়ে যায় লঞ্চটি।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD