১৩০ বছর বয়সেও রোজা রাখছেন সুফিয়া বেগম, পড়ছেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ

ছবি: সংগৃহীত
মুন্সিগঞ্জের সুফিয়া বেগম। জাতীয় পরিচয়পত্রে ১১৩ হলেও প্রকৃতপক্ষে এই বৃদ্ধার বয়স ১৩০ এর কাছাকাছি। তবে এই বয়সেও ধরে রেখেছেন ইসলামের অনুশাসন। প্রতিদিন সেহরির সময় ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সবাইকে ডেকে তুলেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত নামাজ পড়ার তাগিদও দেন। তার এমন সহজ-সরল স্বভাব সাড়া ফেলেছে গ্রামজুড়ে।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সেই কিশোরী বয়স থেকেই নিয়মিত পালন করেন সুফিয়া বেগম। রমজান মাসে নিয়মিত পড়েন তারাবি। প্রায় ৫৭ বছর আগে সুফিয়া বেগমের স্বামী আল-তাজউদ্দিন তালুকদার মারা যান। দুই ছেলের মধ্যে একজনের বয়স ৯০ বছর। আর ৮ মেয়ের মধ্যে বর্তমানে জীবিত আছেন ৫ জন। মেয়ে ও জামাইসহ ছয়জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
সুফিয়া বেগমের বড় ছেলে বলেন, আমার মায়ের বয়স ১৩০, বেশিও হতে পারে। আমার বয়স ৯০। আর আমার ভাইয়ের বয়স ৮০-৮২ হবে। মা নামাজ-রোজা করে। সবাইকে নামাজের জন্য ডাকে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তসবিহ পড়েন। আল্লাহ আমার মাকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন।
বৃদ্ধা সুফিয়া বেগমের চল্লিশোর্ধ্ব নাতি বলেন, দাদির ১৩০ বছর বয়স। আল্লাহ’র রহমতে এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এই রমজানে এখন পর্যন্ত সবগুলো রোজা করেছেন। আর আমার জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি দাদিকে কখনো নামাজ কাজা করতে দেখিনি।
হাতের ইশারায় ৬-৭ বছর বয়সী শিশুর উচ্চতা দেখিয়ে বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম বলেন, আমার জীবনভর আমি এতটুকু বয়স থেকে রোজা থাকি। মা-বাবা বুঝিয়েছে। রাতে সময় আমি সবাইকে নামাজ পড়ে ঘুমাতে বলি। আবার ভোরের সময় সবাইকে ডাকি উঠো, নামাজ পড়ো। তিনি বলেন, ‘অহন তো বড় দিন। আমার মনে হইছে ইয়া বড় মাছ, হেই মাছটা খাইতে, মনে কয় গোস খাইতে, মনে কয় দুধ খাইতে- আগে এমনে খাইছি। অহন তো বয়স নাই, এখন একটুখানি খাই।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য