ঈদ উপলক্ষে জমজমাট নতুন টাকার ব্যবসা

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে নতুন টাকার ব্যবসা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শাখারীবাজাড় মোড়, গুলিস্তানসহ রাজধানীর বেশকিছু পয়েন্টে নতুন টাকার পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
শাখারীবাজার মোড়ে দোকান সাজিয়ে বসেছেন ষাটোর্ধ্ব মোবারক মিয়া। এই ব্যবসা করছেন তিনি প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে। অনেকে ক্রেতা আছেন তারা এখান থেকে পুরনো টাকা দিয়ে নতুন টাকা নিয়ে যান, ছেঁড়া-কাটা টাকা দিয়ে ভালো টাকা নিয়ে যান এছাড়াও টাকার বিনিময়ে নতুন টাকা বিক্রি করেন তার মতো দোকানিরা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর টাকার হাট ঘুরে দেখা যায় বিক্রেতারা বেশ ব্যস্ত ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে। গুলিস্তানের নতুন টাকার হাটে অর্ধশতাধিক দোকানি নতুন টাকা বিক্রির ব্যবসা করছেন। দুই টাকা থেকে শুরু করে ১০০ ও ২০০ টাকা পর্যন্ত সব ধরনের নোটের নতুন বান্ডেল পাওয়া যায় তাদের কাছে।
ঈদের দিন পরিবারের সদস্যদের মাঝে ভিন্ন আনন্দ উপহার দিতে সেই নারায়ণগঞ্জ থেকে নতুন টাকা নিতে এসেছেন সাব্বির আহমেদ নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তিনি জানান অফিস এখনো ছুটি হয়নি, আর আসার সুযোগ হবে না, তাই আজ নতুন টাকা নিতে এসেছি। তিনি অভিযোগ করেন ঈদ উপলক্ষে দাম কিছুটা বেশ নিচ্ছে বিক্রেতারা। সরেজমিনে দেখা যায়, একটি দশ টাকার বান্ডেল (১ হাজার টাকা) কেউ বিক্রি করছেন এক হাজার ৩০০ টাকায় কেউ এক হাজার ২৭০ টাকায়। পাঁচ টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে হাজারে ৩৫০ টাকা।
২০ টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৫০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়। এ ক্ষেত্রে ১০০ টাকার বান্ডেলের চাহিদা কম থাকায় সেটা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৫০ টাকায়।
সাব্বিরের মতো আরাফাত নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীও এসেছেন নতুন টাকার কেনার উদ্দেশ্য অন্যান্যদের মত তারও অভিযোগ এবছর প্রতি বান্ডেলের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে।
প্রায় সারা বছরই গুলিস্তানের এ স্থান থেকে নতুন টাকা কেনার পাশাপাশি কাটা-ছেঁড়া টাকা দিয়ে নতুন টাকা নিতে ছুটে আসেন ক্রেতারা। তবে প্রতি ঈদের আগে এই হাটে ক্রেতাসমাগম অনেকটাই বেড়ে যায়। ঢাকার বাইরে থেকেও অনেকে নতুন টাকা কেনার জন্য এখানে ছুটে আসেন। দোকানিরা জানায়, নতুন টাকায় বান্ডেলে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৫ ও ১০ টাকার নোটে।
গুলিস্তানের টাকার বাজারে বাবার অনুপস্থিতে দোকান সামলাচ্ছেন আরিফ নামে এক যুবক তিনি জানান তার বাবা ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করেন। বাবা শারীরিক অসুস্থ থাকায় তিনি এসেছেন দোকানে, কারণ ঈদে এই ব্যবসা বেশ ভালো হয়। ব্যাংক থেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করে এ হাটে বিক্রি করে দৈনিক ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা আয় হয়। এবছর টাকার দাম কিছুটা বেশি তাই বিক্রি আগের তুলনা কম বলে জানান তিনি।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য