মেসির নাম বলায় অপহরণ থেকে মুক্তি পেলেন বৃদ্ধা

২২ মার্চ ২০২৪, ১:৫০:২১

ওই দুই অস্ত্রধারী তার পরিবারের বাকি সদস্যরা কোথায় তা জানতে চেয়েছিল।

“‘আমার সাথে কথা বলবেন না’, আমি বললাম, ‘কারণ আমি আপনার ভাষা জানি না। আপনি আরবি বলতে পারেন এবং আমি হিব্রুতে খারাপ কথা বলি’। আমি তাকে বলি, ‘আমি আর্জেন্টিনার স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলি’, “কুনিও বলেন। “তাই সে আমাকে বলে ‘আর্জেন্টিনা কি?'”

তিনি কথোপকথনটি কিংবদন্তি ফুটবল ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির দিকে নিয়ে যান কারণ তিনি ভাঙা হিব্রু, স্প্যানিশ এবং অঙ্গভঙ্গির সংমিশ্রণে অনুপ্রবেশকারীদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।

“তাই আমি তাকে বলি, ‘আপনি কি ফুটবল দেখেন?’ তারপর সে আমাকে বলে, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি ফুটবল পছন্দ করি’। তাই আমি তাকে বলি, ‘আমি মেসির দেশ থেকে এসেছি’। তারপর সে উত্তর দেয়, ‘মেসি! আমি মেসিকে অনেক পছন্দ করি’।”

গেলো কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এই ছবিটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ছবির বৃদ্ধা মূলত আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত এক ইসরায়েলি নাগরিক, যিনি ৭ অক্টোবর জিম্মি হয়েছিলেন হামাসের হাতে। জিম্মি থাকাকালীন হামাসের সদস্যরা জানতে পারেন, তিনি ফুটবল তারকা ‘লিওনেল মেসি’র দেশের বাসিন্দা। এরপর তিনিই বনে যান তারকা। বন্দি অবস্থায়ই হামাস যোদ্ধাদের কাছে পান বাড়তি সমাদর।

আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভুত এসথার কুনিও জানান, ওদের বলি– আমি তোমাদের ভাষা জানি না। তোমরা আরবিতে কথা বলো আর আমি স্প্যানিশ আর আর্জেন্টাইন ভাষায় কথা বলি। ওরা আর্জেন্টিনাও চিনতো না। যখন জিজ্ঞেস করি, মেসিকে চেনে কিনা? তখন মেসির নাম শুনেই ওরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। জানায়, মেসিকে ওদের খুব পছন্দ। তারপর আমার সাথে ছবি তোলে, যেন আমি বড় কোনো সেলিব্রেটি।

পরবর্তীতে, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে এই বৃদ্ধাকে মুক্তি দেয় হামাস। এসথার জানান, হামাসের হাতে এখনও জিম্মি আছেন তার পরিবারের অন্তত ৭ সদস্য। মেসি তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসবে, এই আশাবাদ তার।

এসথার কুনিও বলেন, আমি চাই, মেসির কান পর্যন্ত ঘটনাটা পৌঁছাক। সে জানুক যে, তার জন্য আমি বেঁচে গেছি। কিন্তু আমার নাতি-নাতনিরা এখনও জিম্মি হয়ে আছে। আমি আশা করব, ওদের ফেরত পেতে আমাকে সাহায্য করবে মেসি।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য