বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ণ

আয়নাঘরে নয়, এসি রুমে ছিলেন আবদুল্লাহিল আমান আযমী: দাবি আসামিপক্ষের আইনজীবীর

৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫:৪১:০৭

এবার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী জেআইসি সেল বা আয়নাঘরে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুনানির সময় এ দাবি করেন তিনি। গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার তিন সেনা কর্মকর্তার হয়ে আইনি লড়াই করছেন এই আইনজীবী।

দুলু বলেন, ২১/১৭ ফুটের কক্ষে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার আযমী। ওই কক্ষে দুটি দরজা, পাঁচটি জানালা, একটি খাট, একটি টেবিল ছিল। জানালাগুলো বন্ধ থাকতো। তবে একটি এসি ছিল। এছাড়া ওয়্যারড্রব, আলমারিও ছিল। অতএব এটি আয়নাঘর ছিল না। অন্য কোনো জায়গা ছিল। এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তা হলেন— ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

তাদের পক্ষে শুনানি করেন দুলু। শুনানিতে তিনি চারটি গ্রাউন্ড তুলে ধরেন। চারটি গ্রাউন্ড হলো- বেআইনি আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুম করে রাখা। এসব বিবেচনায় নেওয়ার প্রার্থনা করেন এই আইনজীবী। একইসঙ্গে তিন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো থেকে অব্যাহতি আবেদন করেন। পরে পলাতক পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানি করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হাসান ইমাম। আর শেখ হাসিনার হয়ে শুনানি করেন আমির হোসেন।

এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, আমরা ডিসচার্জ নিয়ে শুনানি করেছি। আমরা চারটি গ্রাউন্ড তুলে ধরেছি। এর মধ্যে প্রসিকিউশনের উপাদান অনুযায়ী তিনটিই অনুপস্থিত। তা হলো ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভির ও মাহবুবুর রহমান ডিজিএফআইয়ে পরিচালক পদে যোগদানের আগেই এসব সংঘটিত হয়েছে। অর্থাৎ তাদের জন্মের আগেই সংঘটিত অপরাধের জন্য এ মামলায় দায়ী করা হয়েছে। কারণ ভুক্তভোগী আযমী ও মাইকেল চাকমাকে অপহরণ করে যখন গুমে রাখা হয়, তখন এই দুজনসহ সরওয়ার হোসেন ডিজিএফআইয়ে কর্মরত ছিলেন না। অর্থাৎ তাদের পোস্টিং হয়নি।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর তদন্ত আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন আযমী। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। সেখানেও এই তিনজনের কোনো দোষ নেই। একইসঙ্গে আযমী যে ঘরে আটক ছিলেন সেই ঘরের বর্ণনাও ট্রাইব্যুনালে দিয়েছি। আমরা সাবমিশনে বলেছি যে আর্মির তদন্ত আদালতের প্রতিবেদন অনুসারে ওটা আয়নাঘর ছিল না। অন্য কোনো জায়গা ছিল। যার কারণে এই ভুক্তভোগীকে আয়নাঘরে আটক রাখার জন্য এই আসামিদের কোনো দায় নেই।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

সর্বশেষ

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD