লন্ডনে পানের পিক ফেললেই জরিমানা, ‘নোংরামি’ ঠেকাতে কঠোর সিদ্ধান্ত

২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৭:৫২

ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে মানুষের পানের পিক ফেলার অভ্যাসে অতিষ্ঠ সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। পান চিবোনোর পর যেখানে-সেখানে থুতু ফেলার কারণে রাস্তাঘাট ও ভবনে তৈরি হওয়া লালচে-বাদামি দাগ পড়ছে। এই দাগ পরিষ্কার করতে বছরে প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। খবর বিবিসির।

উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের বিভিন্ন এলাকায় পান চিবানোর দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায়। এরপর রাস্তাঘাট, টেলিফোন বক্স থেকে শুরু করে ফুলের বাগান পর্যন্ত নানা স্থানে পানের পিক এবং থুতু ফেলেন নাগরিকরা। এতে বিভিন্ন স্থানে পানের দাগ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পান মূলত লন্ডনে বসবাসরত দক্ষিণ এশিয়ানদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। সুপারি, পানের পাতা, বিভিন্ন ভেষজ উপাদানে তৈরি পান খাওয়ার অভ্যাস একেবারে মন্দ নয়। কিন্তু পান খাওয়ার পর যেখানে-সেখানে পানের পিক ফেলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।

লন্ডনের ব্রেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে শক্তিশালী ক্লিনিং জেট দিয়েও এসব দাগ পুরোপুরি মুছা যায় না। তাই এবার কাউন্সিল কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই নাগরিকদের যত্রতত্র পানের পিক ফেলার বদঅভ্যাস বন্ধে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে পানের পিক ফেলা ঠেকাতে সড়কে টহলে থাকবে এনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তারা। ধরা পড়লে সর্বোচ্চ ১০০ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার টাকারও বেশি জরিমানা গুনতে হবে।

ব্রেন্ট কাউন্সিলের পরিবেশবিষয়ক ক্যাবিনেট সদস্য ক্রুপা শেঠ বলেন, ‘আমাদের রাস্তাগুলো যারা নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি অব্যাহত রেখেছি। এর মধ্যে তারা-ও অন্তর্ভুক্ত যারা পান ফেলে রাস্তার অবকাঠামো নোংরা করে। ব্রেন্টের সঙ্গে ঝামেলা করবেন না, আমরা আপনাকে ধরব এবং জরিমানা করব।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় পাওয়া গেছে, সুপারি নিজেই কার্সিনোজেনিক, অর্থাৎ তামাক ছাড়াই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য