জীবনে আর কখনও খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করব না: ডা. এজাজ
অভিনয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দর্শকের আস্থা অর্জন করেছেন ডা. এজাজ। কিন্তু এবার উল্টো স্রোতে ভাসতে হলো তাঁকে। ‘খাঁটি-ঘি’ নামের এক অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ায় তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন, এমনকি যেতে হয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরেও।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজন ভোক্তা অভিযোগ তুলেছেন-ডা. এজাজের প্রতি ভরসা করেই তারা ‘খাঁটি-ঘি’ থেকে পণ্য কিনেছেন, কিন্তু পেয়েছেন নিম্নমানের এবং প্রতারণাপূর্ণ দ্রব্য। ঢাকার এক গ্রাহক বলেন, ‘অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখলেও বিশ্বাস পাই না। কিন্তু এজাজ ভাইকে দেখে ভরসা করেছিলাম। পরে বুঝলাম প্রতারিত হয়েছি।’ একই অভিযোগ ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই পরিস্থিতি নজরে আসতেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ ডা. এজাজ। এক সাক্ষাৎকারে বলেন,‘সম্প্রতি ভোক্তা অধিদপ্তর আমাকে ডেকেছিল। তারা জানিয়েছেন, আমাকে দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমি তাদের বলেছি-বিজ্ঞাপন করার সময় আমাকে বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র দেখানো হয়েছিল, তাই বিশ্বাস করেছিলাম।’
তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক তাঁকে পণ্যের গায়ে বিএসটিআই লোগো দেখান। তাই তিনি ধরে নিয়েছিলেন, পণ্যটি পরীক্ষিত ও মানসম্মত। ‘যদি প্রতিষ্ঠানটি সত্যিই ভেজাল পণ্য দিয়ে থাকে, তবে ভোক্তা অধিদপ্তর যেন তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়—বললেন এজাজ। এ বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।
তবে অভিযোগ দায়েরের পরও বিজ্ঞাপনটি এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে। বিষয়টি বন্ধে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা বলেও কোনো ফল পাননি তিনি। ‘বলেছি যে বিজ্ঞাপন বন্ধ করুন, মানুষকে আর প্রতারণা করবেন না। কিন্তু তারা শুনছে না। বিষয়টি ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি,-বললেন তিনি।
সবশেষে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ডা. এজাজ বলেন,‘এই ঘটনার পর স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছি-জীবনে আর কখনই খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করব না। মানুষের ভরসাকে কেউ যেন আর ব্যবহার করতে না পারে।’
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য