খালেদা জিয়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত

২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৬:০৫

এবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চলমান চিকিৎসায় জটিলতা না কাটলে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) বা হৃদযন্ত্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। গত রোববার রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেখানে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, খালেদা জিয়ার নিউমোনিয়া ছাড়াও মাল্টিডিজিস জটিলতা কিছুটা বেড়েছে। বয়সের কারণে চাইলেও সব চিকিৎসা একসঙ্গে দেওয়া যাচ্ছে না। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো-খারাপ দুটোই আছে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে সব মিলিয়ে সপ্তাহখানেক হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে থেকেই তিনি ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন।

এদিকে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের কেবিনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার রাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কয়েক মাস ধরেই খালেদা জিয়া ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছিলেন। এবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারণ, তাঁর কতগুলো সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। তাঁর বুকে সংক্রমণ হয়েছে। যেহেতু তাঁর হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল, তাঁর হার্টে স্থায়ী পেসমেকার আছে এবং হার্টে স্টেন্টিং (রিং পরানো) করা হয়েছিল। হার্ট ও ফুসফুস– দুটোই একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত খুব সমস্যা হচ্ছিল।

রোববার রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে আছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে নিবিড় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উৎকণ্ঠিত কোনো বিষয় আমরা মনে করছি না। পরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর পর্যবেক্ষণ করে কী ধরনের চিকিৎসার পরিবর্তন আনা যায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা বোর্ড নেবে।

তিনি বলেন, শনিবার ভোর থেকে লন্ডন থেকে তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। এ ছাড়া প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী সৈয়দা শর্মিলা রহমান হাসপাতালেই আছেন। তাদের আত্মীয়স্বজন চিকিৎসার ব্যাপারে সব সময় সহযোগিতা ও খোঁজখবর রাখছেন। অধ্যাপক জাহিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য