পদ্মা ব্যাংকের কেউ চাকরি হারাবে না: এক্সিম ব্যাংক চেয়ারম্যান

১৮ মার্চ ২০২৪, ১:৪০:২৭

সংগ্রহীত ছবি

এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেছেন, আগামীকাল থেকে আর পদ্মা ব্যাংক থাকছে না। ব্যাংকটিকে একীভূত করার কারণে নতুন কার্যক্রম চলবে এক্সিম ব্যাংকের নামে। একীভূত করা হলেও কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচলানা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। সিদ্ধান্ত হয়নি দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়েও।

সোমবার (১৮ মার্চ) পদ্মা ব্যাংকে একীভূতকরণ চুক্তি শেষে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে এ চুক্তি হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আফজাল করিম।

নজরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের ক্ষতি হবে না। ব্যাংকিং কার্যক্রম আগের মতোই চলবে।

তিনি বলেন, পদ্মা ব্যাংকে একীভূত করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো চাপ ছিল না, তবে সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ ছিল। আমরা এটা করেছি দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে। পদ্মাকে একীভূত করা হলেও আমানতকারীদের কোন সমস্যা হবে না, সবাই নিরাপদে থাকবেন।

নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, বিশ্বে দুই পদ্ধতিতে একীভূত করা হয়। আমরা একুইজিশন করি নাই, মার্জ করেছি। একটা সবল ব্যাংক এবং তুলনামূলক একটু দুর্বল ব্যাংকের মধ্যে মার্জ হয়েছে। পদ্মা ব্যাংকের মানবসম্পদ যেটা রয়েছে প্রায় ১২০০ কর্মী তাদের কারো চাকরি যাবে না। সবাই কর্মরত থাকবেন এক্সিম ব্যাংকের হয়ে। আমাদের আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ক্ষতি হবে না। আগের মতোই চলবে।

২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে একটি ফারমার্স ব্যাংক। ওই সময় এর চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। অল্প সময়ের মধ্যে অনিয়মে ডুবতে থাকে ব্যাংকটি। মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে সরিয়ে দেওয়া হলে ব্যাংকটির মালিকানায় আসেন ব্যবসায়ী নাফিজ সরাফাত।

২০১৯ সালে নাম পরিবর্তন করে ফারমার্স ব্যাংক হয়ে যায় পদ্মা ব্যাংক। ব্যাংকটি ৭১৫ কোটি টাকা তহবিল পায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। তবু দাঁড় করানো যায়নি পদ্মা ব্যাংককে।

বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ নিলে পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করতে আগ্রহ দেখায় এক্সিম ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক একীভূত হলে গ্রাহকের আমানত নিরাপদ থাকবে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য