আরও ৩০ ফিলিস্তিনির দেহ ফেরত দিলো ইসরায়েল, অনেকের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন

২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬:২৯

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার (২২ অক্টোবর) ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। এসব মৃতদের অনেকগুলোর শরীরে ‘নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের স্পষ্ট চিহ্ন’ পাওয়া গেছে।এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ‘আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে নিথর দেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অনেক মৃতদেহের হাতে দড়ি বাঁধা, চোখে বাঁধা কাপড় এবং মারধরের স্পষ্ট দাগ পাওয়া গেছে।’ খবরটাইমস অব ইসরায়েলের।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল মোট ১৯৫টি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫৭টি দেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। গাজার ল্যাবরেটরিগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এবং দীর্ঘদিনের অবরোধের কারণে ফরেনসিক পরীক্ষাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নিহতদের পরিবারগুলো দেহের পোশাক বা বিভিন্ন চিহ্ন দেখে স্বজনদের লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

বুধবারের আগেই গাজা প্রশাসন ইসরায়েলের ফেরত দেয়া আরও ৫৪টি লাশের জানাজা একযোগে সম্পন্ন করেছে। ওই লাশগুলোর অধিকাংশই ‘অত্যাচারে বিকৃত হওয়ায়’ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু রিট্রিভ মার্টিয়ার্স’ বডিজ জানায়, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েল ৭৩৫টি ফিলিস্তিনির দেহ আটকে রেখেছিল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেতজ জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের কুখ্যাত সিদে টাইমান সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলি সেনারা এখনো প্রায় এক হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনির দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছে।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি ১০ অক্টোবর কার্যকর হয়। প্রথম ধাপে বন্দি বিনিময়, আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসমুক্ত একটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য

Ad