মসজিদে অনুষ্ঠান নিয়ে ছাত্রশিবির-যুবদলের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে মসজিদে ছাত্রশিবিরের কুরআন তালিমের কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার কাসেম বাজার জামে মসজিদে গতকাল শনিবার ছাত্রশিবির দারসুল কুরআন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। সেখানে যুবদল হামলা চালায়। গতকালের হামলার প্রতিবাদে আজ (রোববার) আসরের নামাজের পর একই মসজিদে কুরআন তালিমের কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। কর্মসূচি চলাকালে আমাদের ওপর হামলা চালায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে মসজিদে তালা মেরে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

তিনি আরও বলেন, এসময় ইট, পাটকেল নিক্ষেপের কারণে আমাদের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের আনতে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটিও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হামলায় নোয়াখালী শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, শিবিরের সাথী ছালাউদ্দিন, কেরামতিয়া মাদ্রাসার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত আলীসহ মোট ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, আসরের নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদে স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তারা উল্টো হামলা চালায়। হামলায় নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ আট নেতাকর্মী গুরুতর অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এ ঘটনায় জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জেলা বিএনপির নেতাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। এতে তৃতীয় কোনো পক্ষ ঢুকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিগত বছরগুলোতে বিএনপি- জামায়াত এক সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আমরা কোনো সংঘাত চাই না।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।