প্রচ্ছদ / রাজনীতি / বিস্তারিত

‘যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব’

৫ অক্টোবর ২০২৫, ১:০২:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের ওপর হামলার বিচার না হলে আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, শেখ হাসিনার সময়েও এরকম বর্বরোচিত হামলার শিকার হইনি আমি। আওয়ামী লীগ সরকার একটি বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে। সাবেক এক প্রধান বিচারপতি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সুতরাং আমাদের ওপর হামলার বিচার না হলে আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব।

নুর বলেন, আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি, তবে সরকার দ্বারা কোনো সুবিধাভোগী নই। আমরা ভাগবাটোয়ারার অংশীদারও নই। সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে আমার ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানাই।

তিনি আরও বলেন, দেশে ইতোমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে বিভাজন ও পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে না হলে দেশ আবারও সংকটে পড়বে।

নুরুল হক নুর প্রশ্ন রেখে বলেন, একটা দলের প্রধানকে এভাবে আক্রমণ করলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে? যাদের ইশারা দেওয়া হবে তারাই নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা চালাবে, মিছিল-মিটিং করবে। আর যাদের সিগন্যাল দেওয়া হবে না, তাদের ওপর হামলা চালানো হবে, আক্রান্ত করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করা হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে শেখ হাসিনার গদি চ্যালেঞ্জ করেও এমন হামলার শিকার হননি তারা। এবারের হামলা ছিল পরিকল্পিত ও টার্গেটভিত্তিক। অন্য রাজনৈতিক দল ও গণআন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশে নুর বলেন, আপনারা যদি পরবর্তী টার্গেটে পড়তে না চান, তাহলে যেই জড়িত থাকুক না কেন, যত ক্ষমতাধরই হোক, তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আবার সেই পুরোনো ধাঁচে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভা-সমাবেশ চলছে, কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশ পায় না। প্রায় ৩৫ দিন পার হয়ে গেলেও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কার্যক্রমে গাফিলতি দেখা যাচ্ছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান নুরুল হক নুর। সেখানে তার শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল।

এর আগে ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নুর। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়ার পর শারীরিক জটিলতা অব্যাহত থাকায় তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য

Ad