গাজার উদ্দেশ্যে ফ্লোটিলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুহি লরেন
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মানবিক সহায়তার কাজ করে আসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অধিকারকর্মী রুহি লরেন আখতার। তার সংস্থা ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস’ (আরবিবি) মূলত বাস্তুচ্যুত ও যুদ্ধপীড়িত মানুষের মধ্যে খাদ্য-ত্রাণ বিতরণসহ নানা সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা মানবিক ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র একজন সহযাত্রী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক পোস্টে দেখা গেছে, রুহি আখতার ফ্লোটিলায় যোগ দিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন এবং গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভয়কে পাশ কাটিয়ে মানবতার বার্তা পৌঁছে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
সারা বিশ্বের মানুষের নজর এখন এই নৌবহরের দিকে। ফিলিস্তিনের গাজার মানুষের জন্য ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪০টির মধ্যে অন্তত ২৪টি নৌযান এখনো গাজার উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ট্র্যাকার অনুসারে, এসব নৌযান এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই অগ্রসর হচ্ছে।
এসবের মধ্যে ‘মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। রুহি এবং তার সহযাত্রীরা ভয়কে পাশ কাটিয়ে মানবতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে অটল।
রুহি আখতারের পিতার নাম কাপ্তান মিয়া। তিনি বিলাত প্রবাসী বাংলাদেশি।রুহি যুক্তরাজ্যের মরপেথে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে এলসউইক ওয়ার্ডে বসবাস করছেন। তিনি একজন মানবিক সহায়তা কর্মী এবং অধিকারকর্মী। গাজার মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি চলমান ইসরাইলি অবরোধের প্রতিবাদ জানাতে তিনি গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, তিনি তিউনিসিয়ার গামার্থ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেন। তার নৌকায় ১২ জন রয়েছেন। তারা তিউনিসিয়া, স্পেন, গ্রিস ও ইতালি থেকে রওনা হওয়া ৪০টিরও বেশি নৌযানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। রুহি ২০২৪ সালে তার অসাধারণ বৈশ্বিক মানবিক কাজের জন্য যুক্তরাজ্যের নর্থ ইস্ট বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডসে ‘বাংলাদেশি পার্সন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি গাজার উদ্দেশ্যে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছি, কারণ অন্যায়ের মুখে নীরব থাকা কোনো সমাধান নয়। বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, জমি, মৌলিক নিরাপত্তা এবং চলাচলের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। একজন মানবিক কর্মী হিসেবে আমি দেখেছি, এক টুকরো রুটি বা সামান্য বিশুদ্ধ পানি কিভাবে সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আশা ফিরিয়ে আনতে পারে। এই নৌবহর হলো সংহতির প্রতীক, যা মনে করিয়ে দেয় বিশ্ব তাকিয়ে আছে, এবং আমরা গাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকব যতদিন না তারা মুক্ত হয়। কারণ আমাদের কেউই মুক্ত নই, যতদিন না ফিলিস্তিন মুক্ত।’
রুহি ও তার সংস্থা আগে গ্রিস, গাজা এবং অন্যান্য এলাকায় বাস্তুচ্যুত ও যুদ্ধপীড়িত মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য ও সহায়তা বিতরণ করেছে। সংস্থার অনেক সদস্যই নিজে বাস্তুচ্যুত বা সংঘাত-প্রবণ এলাকার মানুষ, অর্থাৎ শরণার্থী। রুহি ন্যায়বিচারের পক্ষে দৃঢ় কণ্ঠস্বর। গাজার উদ্দেশ্যে নৌবহরে যোগ দেওয়ার আগে তিনি এবং তার সাথীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ত্রাণের প্যাকেজ প্রস্তুত করেছেন।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য