প্রচ্ছদ / রাজনীতি / বিস্তারিত

নুরের ওপর হামলায় জামায়াত জড়িত : ছাত্রদল নেতা আমান

৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

এবার গণ অধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় জামায়াতে ইসলামী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। পরিস্থিতি ঘোলাটে করে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জামায়াত এটা করছে বলে তিনি দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডে শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমান। ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জিএসের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে রিটকারী নারী শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ‘ধর্ষণের’ হুমকি, রাবি ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্তা ও সারা দেশে নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের মুরব্বি সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। তারা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন চায় না। নির্বাচন যাতে বিলম্বিত হয়, সে জন্য সারা দেশে ইন্টেনশনালি এ মবক্রেসি তৈরি করে বোঝাতে চাচ্ছে—বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। নুরুল হক নুরের যে ঘটনা ঘটেছে, সাম্প্রতিক সময়ে যতগুলো ঘটনা, আপনারা দেখবেন যে দুই পক্ষেই জামায়াতের লোক আছে।

অর্থাৎ, ভেতরে ঢুকে একটি স্যাবোটাজ তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা এবং বাংলাদেশের মানুষকে জানান দেওয়া যে এই মুহূর্তে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। প্রতিটি ঘটনার পরে তাদের কোনো না কোনো দায়িত্বশীল বক্তব্য দিয়ে থাকে, দেশে যদি এ পরিস্থিতি চলে, নির্বাচনের কি অবস্থা আছে? সুতরাং নির্বাচন পেছানোর যে ষড়যন্ত্র, এই খেলা মানুষ বুঝে গেছে।’

ছাত্রদলের এই নেতা আরো বলেন, ‘শিবির সব সময় বলে তারা চেইন অব কমান্ডের বাইরে যায় না। তাহলে তাদের নেতাকর্মীরা যে নারী কর্মীকে হেনস্তা করেছে, সেটা কি তাদের চেইন অব কমান্ডের ভেতরে পড়ে? যদি তাই হয় তবে সেটাই তাদের আদর্শিক অবস্থান।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জামায়াতীকরণ করা প্রশাসন। তারা প্রত্যেকেই একটি সংগঠনকে জেতানোর জন্য যত রকমের অপচেষ্টা করা দরকার, তা করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো ধরনের রগ কাটার ইতিহাস আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে ফিরতে দেব না।’

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য