প্রচ্ছদ / আইন ও আদালত / বিস্তারিত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সাময়িক নয়, কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ

২৭ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৬:৪১

ফাইল ছবি

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে আপিল বিভাগ কোনো সাময়িক সমাধান দিতে চায় না, বরং এমন একটি কার্যকর সমাধান চায় যেন এটি বারবার বিঘ্নিত না হয় এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে। বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের ওপর এদিন সকালে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এই শুনানি চলছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, আর রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এই ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন। তবে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

এই রায়ের পর সরকার পরিবর্তনের পর সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে পৃথক চারটি আবেদন করেন। এই আবেদনগুলোর ওপরই বর্তমানে শুনানি চলছে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য