মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ণ

‘তুহিনকে মা প্রায়ই বলতো সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে’

৮ আগস্ট, ২০২৫ ৫:১২:৩৮
ছবি: সংগৃহীত

দুই দিন আগেই বাবার ওষুধের টাকা পাঠিয়েছিলেন। মায়ের চোখের ছানি অপারেশনের জন্য এ সপ্তাহে বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হলো না সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের। গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়ে তার নিথর দেহ আজ ফিরছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বাড়িতে। ছেলের এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন অসুস্থ বাবা হাসান জামিল ও মা সাবিয়া খাতুন বকুল। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তারা। স্বজন ও প্রতিবেশীদের সান্ত্বনাও থামাতে পারছে না তাদের কান্না। তুহিনের মৃত্যুতে ফুলবাড়িয়ার ভাটিপাড়া গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামিলের পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তুহিন। আজ বাদ মাগরিব জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ির পূর্ব পাশে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, তুহিন ২০০২ সালে স্থানীয় আলহেরা একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ২০০৪ সালে সিলেটের এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর থেকেই গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি একটি ক্লিনিকও পরিচালনা করতেন তিনি।

নিজ গ্রামের অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা করতেন তুহিন। তার মানবিক গুণাবলীর জন্য গ্রামে বেশ পরিচিত ছিলেন। গ্রামের অনেক যুবককে কর্মসংস্থানও করে দিয়েছিলেন তিনি।

তুহিনের বড় বোন রত্না বেগম বলেন, আমার ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করল। না মেরে একটা হাত, একটা পা ভেঙে দিত, পঙ্গু হলেও তো বেঁচে থাকতো। আমার দুই ভাইপো এতিম হয়ে গেল, স্ত্রী বিধবা। ওদের এখন কী হবে?’ তিনি দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।

অসুস্থ বাবা হাসান জামিল বলেন, আমার সহজ-সরল ছেলেটাকে তার মা বারবার সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু ছাড়েনি। সেই সাংবাদিকতা করতে গিয়েই আমার ছেলে হত্যার শিকার হলো।

তুহিনের এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গ্রামের মানুষ হতবাক। দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD