বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ণ
 

একই পরিবারের ৭ জনের দাফন সম্পন্ন, কাঁদছে পুরো গ্রাম

৬ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৩৩:২৫
ছবি: সংগৃহীত

চালকের চোখে ঘুম ছিল। বিমানবন্দর থেকে আসার পথে কুমিল্লা হয়ে ফেনী ঢুকলে প্রথম দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে যায় গাড়িটি। ঘুম নিয়ে বারবার চালককে সতর্ক করা হয়। কিন্তু সে কারও কথাই কর্ণপাত করেনি। সবশেষ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খালে পড়ে যায়। ঘুমে চোখ লেগে এলে চালক ঝাঁকুনি দিয়ে উঠতেই ঘটনাটি ঘটে।

একপর্যায়ে সে দরজার কাঁচ খুলে পালিয়ে যায়। আর একে একে গাড়িতে থাকা ৪ নারী ও ৩ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বেঁচে ফেরেন প্রবাসীসহ ৫ জন।

এভাবেই কথাগুলো বলেছেন বেঁচে ফেরা প্রবাসী বাহার উদ্দিন, তার বাবা আব্দুর রহিম ও শ্বশুর ইস্কান্দার মির্জা। তাদের সবার একই দাবি, চালকের ঘুমের কারণেই পরিবারের ৭ জন চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী বাজার এলাকার কাশারি বাড়িতে গেলে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

এর আগে ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে খালে পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সরেজমিনে কাশারি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশসহ দূর-দূরান্তের মানুষ বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন। একটি পুরনো টিনশেড ঘরের সামনের কক্ষেই চৌকিতে শোয়ানো ছিল শিশু মীম আক্তার (২), রেশমা আক্তার (৯) ও লামিয়া ইসলামের (৮) মরদেহ। সেখানে তাদেরকে ঘিরে কান্না করছে স্বজনরা। এরপর একটি ভবনে ঢুকতেই সামনের কক্ষে মেঝেতে দেখা যায় ৪ জন নারীর মরদেহ ঢেকে রাখা হয়েছে। তারা হলেন, কবিতা আক্তার (২৪), মুরশিদা বেগম (৫০), ফয়জুন নেছা (৭০) ও লাবনী আক্তার (২৫)।

তাদের মরদেহ দাফন করতে কেউ বাঁশ কাটছে, কেউ আবার কবর খুঁড়ছে। একটি মিনি পিকআপে করে আনা হয়েছে খাঁটিয়া। বিকেলে বাদ আছর নামাজের জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD