‘আমি গরিবের ছেলে, আমি টাকার লোভ সামলাতে পারিনি’

ঢাকার গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
রোববার (৩ আগস্ট) সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির হয়ে রিয়াদ বলেন, ‘আমি গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।’ চাঁদাবাজির ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে তিনি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেন।
এর আগে ২৬ জুলাই গুলশানের সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের বাসায় চাঁদা দাবি করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন।
জবানবন্দিতে রিয়াদ জানান, তিনি বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে সহযোগিতা করেছেন। গত ১৭ জুলাই তিনি সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি জাকির হোসেন মঞ্জুর মাধ্যমে গুলশান জোনের ডিসিকে জানিয়ে ছিলেন, শাম্মী আক্তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। পরে পুলিশ ও সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে মধ্যরাতে ওই বাসায় অভিযান চালাতে গেলে শাম্মীকে পাওয়া যায়নি।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফিরে আসার সময় জানে আলম অপু নামের এক সহযোগী শাম্মীর একটি এয়ারপড নিয়ে আসেন, যা পরে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর অপু ও রিয়াদ ফের বাসায় গিয়ে শাম্মীর স্বামী আবু জাফরকে ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। তবে বাসায় ১০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাবে তারা রাজি হন এবং ওই অর্থ ভাগ করে নেন।
পরদিন ২৬ জুলাই চাঁদার বাকি ৪০ লাখ টাকা আদায়ের জন্য তারা ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সিয়াম ও সাদমানকে পাঠান। এরপর রিয়াদ নিজেও ওই বাসায় গেলে পুলিশ তাদের হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে।
রোববার আদালতে রিয়াদসহ চার আসামিকে হাজির করা হয়। রিয়াদ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তা রেকর্ড করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য তিন আসামি ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তাদের সবাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য