প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

স্বামীকে অপহরণ করিয়ে চাঁদা দাবি, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৬

২ আগস্ট ২০২৫, ৭:২৭:০৯

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামী রহিম মিয়াকেকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন স্ত্রী আকলিমা বেগম। তবে স্বজনরা পুলিশকে বিষয়টি জানালে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে জিম্মি অবস্থায় থাকা রহিম মিয়াকে উদ্ধার ও তার স্ত্রীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মির্জাপুর থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ইটভাটায় কাজের সূত্রে অপহরণের শিকার রহিমের সঙ্গে আকলিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়েও করেন। ইটভাটার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর রহিম তার নিজ এলাকায় চলে যায়। সেখানে তার আরেক স্ত্রী রয়েছে।

সাত মাস যাবৎ রহিম যোগাযোগ না করায় তাকে শায়েস্তা করার ফন্দি করেন আকলিমা। ফোন করে তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন। মির্জাপুরে আকলিমার ভাড়া বাসায় আসার পরপরই রহিমকে মারধর ও একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করা হয়।

এরপর তার স্বজনদের কাছে ফোন করে চার লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি ভুক্তভোগীর স্বজনরা জাতীয় জরুরি পরিষেবা-৯৯৯ এ ফোন করে জানায়। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন তালচানা গ্রামের আলকেসের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০)।

মির্জাপুর থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটির নেতৃত্ব দিতো। আর অন্তরালে তারা বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করত। এ ঘটনায় তাদের ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য

Ad