প্রচ্ছদ / ক্যাম্পাস / বিস্তারিত

“প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে “সিএসই আড্ডা!”

২৩ জুলাই ২০২৫, ৯:১৮:১৫

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলির অধিকাংশতেই কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। অর্থাৎ কম্পিউটার বিজ্ঞান, আইটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ বাংলাদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। যদি প্রশ্ন করা হয়, শুধু বইপত্রের লেখাপড়া নয় বরং আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে পড়ালেখা এবং লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা দিয়ে কম্পিউটার সায়েন্সের মত জটিল বিষয় শেখা ও ক্যারিয়ার গড়া নিয়ে পরামর্শ পাওয়া যায় এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয় আছে কি– তাহলে পাঠক হয়তো চিন্তায় পড়ে যাবেন। কারন হাতেগোনা দুচারটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোথাও হয়তো এমন সুযোগ পাওয়া যাবে না!

এই প্রেক্ষাপটে, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্ট শুরু করেছে অসাধারণ এক উদ্যোগ- “সিএসই আড্ডা” যেখানে সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষকদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন, হাসি-কান্না শেয়ার করতে পারেন এবং এরই মাঝে লেখাপড়া এবং ক্যারিয়ার সংক্রান্ত নানান সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড এবং স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন প্রফেসর ডঃ শহিদুল ইসলাম খান নাঈম জানালেন, বাংলাদেশের অল্প কিছু শিক্ষার্থী বিশ্বের নামীদামী ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়েন যেমন অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, হার্ভার্ড, এমআইটি, ক্যালটেক ইত্যাদি। সেখানকার পড়ালেখা সম্পর্কে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা একটা কথা প্রায়ই বলেন যে ঐসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুবই বন্ধুবৎসল, অনেক বেশি হেল্পফুল। ফলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়াটা খুব এনজয় করে। তাহলে বাংলাদেশে আমরা এমন কালচার কেন গড়ে তুলতে পারবো না যেখানে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে শিখবে? এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই সিএসই আড্ডার শুরু।

বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের কারখানা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক বেশি। এধরনের সম্পর্ক শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণার উন্নয়ন এবং ইতিবাচক শিক্ষার পরিবেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে প্রশ্ন করতে দ্বিধা বোধ করে না। ফলে জ্ঞানের আদান-প্রদান আরও স্বচ্ছ ও প্রাণবন্ত হয়। আর যখন শিক্ষকগণ সহানুভূতিশীল ও উৎসাহ প্রদানকারী হন, তখন শিক্ষার্থীরা নিজেদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারেন। এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ও আত্মবিশ্বাস গঠনে সহায়ক।

শিক্ষকরা শুধুমাত্র একাডেমিক নয়, বরং নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষক যদি বন্ধুর মতো আচরণ করেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা, ক্যারিয়ার বা ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়েও পরামর্শ নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পরবর্তীতে এই সম্পর্কের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, দলবদ্ধ কাজ, এবং যোগাযোগের দক্ষতা গড়ে ওঠে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীরা সিএসই আড্ডায় অংশ নিতে পেরে অনেক উৎফুল্ল। তাদের চাওয়া-এই আড্ডা যেন নিয়মিত বহাল থাকে, প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণা যেন হয় আনন্দময়!

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য