ঢাকার বাইরে থেকে আসছেন রক্তদাতারা, মিলছে নেগেটিভ গ্রুপের রক্তও

সংগৃহীত
এবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের রক্ত দিতে রক্তদাতারা আসতে শুরু করেছেন। পজিটিভ গ্রুপের পাশাপাশি নেগেটিভ গ্রুপের কিছু রক্তদাতাও পাওয়া যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, বার্ন ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বেশ কিছু রক্তদাতা এসেছেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের একটি প্রতিনিধিদল রক্তদাতাদের তালিকা খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখছে।
লিপিবদ্ধ তালিকায় দেখা যায়, পজিটিভ গ্রুপের রক্তদাতাদের সংখ্যা বেশি। তবে নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতাও পাওয়া যাচ্ছে। মো. রবিউল ইসলাম ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। ৫৫ বছর বয়সী রবিউল বলেন, কাল সংবাদে দেখেছি, নেগেটিভ রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না। আমার রক্তের গ্রুপ এ নেগেটিভ। রক্ত দিতে এসেছি। ছোট বাচ্চাগুলা মারা যাচ্ছে ঘরে বসে থাকতে পারলাম না।
ফরিদপুর থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে এসেছেন মো. সাকিব। তিনি বলেন, ফরিদপুর থেকে এসেছি। আমার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ। চলে আসছি রক্ত দিতে যদি কাজে লাগে। ফার্মগেট এলাকা থেকে রক্ত দিতে এসেছেন মাসুদা বেগম। মাসুদা বলেন, আমার রক্তের গ্রপ ও নেগেটিভ। নেগেটিভ রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না শুনতেছি। নিজে আসছি সঙ্গে দুই আপাকে নিয়ে আসছি। ওনাদের একজনের পজিটিভ, আরেকজনের নেগেটিভ।
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৭৮ জন। এ পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, রক্তের জন্য পর্যাপ্ত ডোনার আছে। নেগেটিভ গ্রুপের কিছু রক্ত লাগবে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য