নেপালকে এক হালি গোল দিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে আগের ৫ ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও অবশ্য শিরোপা নিশ্চিত ছিল না। ট্রফি জয়ের মিশনে অলিখিত ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আফঈদা খন্দকারের দল। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
সোমবার (২১ জুলাই) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ফেরেন নিষেধাজ্ঞার জন্য তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকা মোসাম্মত সাগরিকা। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে এই ফরোয়ার্ড একাই করেছেন চার গোল। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নেপালকে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এ নিয়ে সাফের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে পঞ্চম শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচ শেষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই ছিল। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে তাই নেপালের বিপক্ষে এ ম্যাচে ড্র করতে পারলেই ট্রফি নিশ্চিত ছিল স্বাগতিকদের। সহজ সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে নেপালকে ৪ গোল দিয়ে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নেপাল দুইবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে নেপালকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সহজ সুযোগ পেলেও লিড নিতে পারেনি স্বাগতিকেরা। পাঁচ মিনিট পরেই অবশ্য গোলের দেখা পেয়ে যায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা। পূজা দাসের বাড়ানো বল নেপালের গোলমুখে বাড়ান স্বপ্না। আর সেই বল ধরে দারুণ প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান সাগরিকা।
লিড নেওয়ার পর প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকবারই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেসব কাজে না লাগায় ১ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ইয়াং টাইগ্রেসরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে বক্সের সামনে নেপালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরিকা। অসাধারণ দক্ষতায় নেপালের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠান কুশলী ফরোয়ার্ড।
হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে বেশি সময় নেননি সাগরিকা। পাঁচ মিনিট পর বাংলাদেশ অর্ধ থেকে বাড়ানো এক লম্বা বলে সাগরিকা ডিফেন্ডারের সঙ্গে তাড়া করে পেয়ে যান। এবারও তিনি দারুণ দক্ষতায় বল জালে পাঠান চোখের পলকেই। সাগরিকার এটি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও এক গোল করছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানের সঙ্গে হাতাহাতি করে লাল কার্ড দেখেন। এতে পরের তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে ফিরেই গোল করে উদ্দাম উদযাপনে তিনি বুঝিয়ে দেন কতটা গোলক্ষুধা তার। যার দরুণ ৭৬ মিনিটে আবারো গোলের দেখা পান সাগরিকা। এবার বলের যোগানদাতা মুনকি আক্তার।
নেপাল আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে সমতা এনেছিল। ঐ ম্যাচে বাংলাদেশের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন করেছিলেন। এরপরই মূলত নেপাল খেলায় ফেরার সুযোগ পায়। তবে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের জালে বলই পাঠাতে পারেনি প্রতিপক্ষ। প্রথমার্ধে কয়েকটি সুযোগ পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে নেপালকে কোনো সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য