রবিবার ৬ জুলাই, ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ণ

ইবি ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

৬ জুলাই, ২০২৫ ১২:৩৬:২০
ছবি প্রতিনিধি, সংবাদবেলা

মানিক হোসেন, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর একটার দিকে অনুষদভবন সংলগ্ন আব্দুল আহাদের দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন।

তারা উভয়ই শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আব্দুল আহাদ বিকেল ৪টার দিকে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত অভিযোগে আহাদ বলেন, কিছুদিন আগে ছাত্রদলের উল্লাস আমাকে দোকান বন্ধ করার কথা জানায়। দোকান বন্ধ না করলে আজকে (৫ জুলাই) দুপুর একটার দিকে উল্লাস ও সাব্বির আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। যদি চাঁদা না দেই পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমি ব্যবসায়িক কাজে অনিরাপদ বোধ করছি। এসময় তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানান।

দোকানদার আব্দুল আহাদ বলেন, উনারা আমাকে একদিন ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেন। আমি ক্যাম্পাসে এসে দেখা করার পর তারা বলে, ‘তুমি কি দোকানদারি করবা নাকি ছেড়ে দিবা?’ আমি বললাম দোকানদারি করবো। সেদিন আর তেমন কিছু বলেনি। আজকে আবার ছাত্রদলের উল্লাস ভাই আর সাব্বির ভাই আমাকে দোকানের বাইরে ডেকে নিয়ে বলে, ‘তোমাকে এর আগে একবার বলেছিলাম। আজকে আবার বলছি যে, কিছু টাকাপয়সা দেও। দেও বলতে বড় ভাই আসেবেনে তারে দিবা। আমি বলে দিবানে। তোমার কোনো সমস্যা হইলে আমরা দেখবো। আজকে শনিবার, বুধবারের মধ্যে টাকা দিবা। বড় ভাই আসবেনে, তুমি খুশি হয়ে কিছু দিবা।’

তিনি বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে দোকান নিয়েছি। তাদের কাছে টাকা দেব কেন? এই ঘটনার পর আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন বলেন, আমি আহাদের দোকানেই যাইনি। সকালে ক্যাম্পাসে গিয়ে আলমগীর ভাইয়ের দোকানে বসে চা খাইছি। তারপর প্রশাসন ভবন ঘুরে ঝিনাইদহ চলে আসছি।

আরেক অভিযুক্ত উল্লাস মাহমুদ বলেন, আমি ক্যাম্পাসে গিয়েছি তবে কোনো দোকানে যাইনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন কথা।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমি উভয়ের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে এসব কিছুই জানে না। তবে আমি স্পষ্ট বলছি, ছাত্রদল করে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমন করে থাকে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাবো।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, অফিসে কয়েকটা অভিযোগ এসেছে। অফিস থেকে আমাকে জানালো এক দোকানদান অভিযোগ দিয়ে গেছে। অফিস টাইম শেষ হওয়ার কারণে দেখার সুযোগ হয়নি। আগামীকাল রবিবার ক্যাম্পাস বন্ধ। সোমবার এসে অফিস সময়ে দেখবো। তারপর বাকি ব্যবস্থা নেব।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD