নোবেলকে ‘জাতীয় বেয়াদব’ বললেন গায়ক রবি চৌধুরী

ছবি: সংগৃহীত
মাইনুল আহসান নোবেল ওপার বাংলার রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’র মাধ্যমে তারকা গায়ক খ্যাতি লাভ করলেও নামের সঙ্গে বিতর্ক ও সমালোচনা জড়িয়েছে সমানভাবে। সুরেলা কণ্ঠে স্টেজ কাঁপানো গায়ক এখন কারাগারে। সংগীতশিল্পীর পাশাপাশি নামের সঙ্গে জুড়েছে ধর্ষণ মামলার আসামি, আদালতের বিয়ের বর, আর সবশেষ যুক্ত হয়েছে ‘জাতীয় বেয়াদব’।
নোবেলকে সবশেষ এই উপাধি অবশ্য দিয়েছেন সংগীত ইন্ডাস্ট্রিরই আরেক সিনিয়র গায়ক রবি চৌধুরী। গত ১৮ জুন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে রীতিমত তির্যক ভাষায় রবি চৌধুরী লিখেছেন, ‘এই গানটি নোবেল গ্রেপ্তার হয়ে আবার প্রমাণিত হলো, সত্যি সে “জাতীয় বেয়াদব”।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের আরও যারা বেয়াদব আছেন, যারা সিনিয়রদের সম্মান করেন না। তাদের গায়ে লাগবে এই গান। কিচ্ছু করার নেই। সময় থাকলে শুনে দেখুন। গায়ক-গায়িকা না হয়ে সবাই শিল্পী হও।’
২০২০ সালে ‘জাতীয় বেয়াদব’ নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক গান প্রকাশ করেন গায়ক রবি চৌধুরী। গানের মূল বার্তা ছিল―যারা গুরুজনদের সম্মান করেন না, অহংকার করে বেড়ায়, তারা কেউই শিল্পী নয়; মূলত বেয়াদব।
রবি চৌধুরী তার পুরোনো এ গানের লিংকটিই নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে তার ক্যাপশনে নোবেলকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। যা রীতিমত ছড়িয়ে পড়েছে। মন্তব্যের ঘরে সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব লিখেছেন, ‘ভালো বলেছো।’
প্রসঙ্গত, নোবেলকে নিয়ে চারদিকে যখন কিনা নানা সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়, ঠিক তখনই ‘জাতীয় বেয়াদব’ উপাধি ছুড়ে দিলেন রবি চৌধুরী।
গত ১৯ মে দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা থানা পুলিশ সমালোচিত ও বিতর্কিত সংগীতশিল্পী নোবেলকে গ্রেপ্তার করে। এক নারীকে বাসায় সাত মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় গায়কের বিরুদ্ধে। পরে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। তারপর কারাগারেই বিয়ে! যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল, ব্যঙ্গ ও ঘৃণার ছড়াছড়ি চলছে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য