যারা ইংরেজিতে কথা বলেন, তারা খুব শিগগিরই লজ্জা অনুভব করবেন: অমিত শাহ

‘যারা ইংরেজিতে কথা বলেন, তারা খুব শিগগিরই তা নিয়ে লজ্জা অনুভব করবেন’—এমন স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার ফের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, সময় এসেছে ভারতকে উপনিবেশিক ছাপ থেকে মুক্ত করে নিজস্ব ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি গর্ববোধ জাগিয়ে তোলার।
নয়াদিল্লিতে প্রাক্তন আইএএস কর্মকর্তা আশুতোষ অগ্নিহোত্রীর লেখা বই ‘ম্যাঁ বুন্দ স্বয়ং, খুদ সাগর হুঁ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘আমাদের দেশের ভাষাগুলোই আমাদের সংস্কৃতির রত্ন। ভাষাহীন ভারত মানে আত্মবিচ্ছিন্ন ভারত। যারা পরিবর্তন ঘটাতে সংকল্পবদ্ধ, তারাই পারে এই সমাজ গড়তে—যেখানে বিদেশি ভাষার প্রতি মোহ নয়, নিজের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে।’
অমিত শাহ বলেন, ‘ভারত, এর ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্ম—এসব কিছুই বোঝার জন্য বিদেশি ভাষা যথেষ্ট নয়। আধা-সিদ্ধ ইংরেজিতে প্রকৃত ভারত বোঝা সম্ভব নয়। এই লড়াই কঠিন, কিন্তু আমি নিশ্চিত—ভারতীয় সমাজই এই যুদ্ধে জিতবে।’ তিনি বলেন, ‘আত্মসম্মান ফিরে পেতে হলে নিজেদের ভাষায় দেশ পরিচালনা করতে হবে। বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে ভারতীয় ভাষা দিয়েই।’
সাহিত্য প্রসঙ্গে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন দেশ ছিল চরম অন্ধকারে, তখনও আমাদের ধর্ম, স্বাধীনতা আর সংস্কৃতির আলো জ্বালিয়ে রেখেছিল সাহিত্য। শাসক বদলেছে, প্রশাসন বদলেছে, কিন্তু যখনই কেউ আমাদের ধর্ম বা সংস্কৃতির ওপর হাত দিয়েছে—জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। কারণ সাহিত্য আমাদের সমাজের আত্মা।’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে অমিত শাহ কেবল ভাষাগত ইস্যু নয়, বরং ভারতের সাংস্কৃতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক আত্মপরিচয়ের প্রশ্নটিকে সামনে আনলেন। তার মতে, ইংরেজি জ্ঞানের হাতিয়ার হতে পারে, কিন্তু পরিচয়ের মূল নয়। ২০৪৭-এ ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষে দাঁড়িয়ে ভারতকে তিনি দেখতে চান এক আত্মবিশ্বাসী জাতি হিসেবে—যারা নিজ ভাষায় কথা বলে, নিজ সংস্কৃতিকে লালন করে, এবং বিশ্বমঞ্চে দাঁড়ায় নিজের পরিচয়ে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য