স্বামীকে ফোন করে ২ সন্তানসহ বাঁচার আর্তনাদ করেও রক্ষা পেলেন না নাজিয়া
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে স্বামীকে ফোন দিয়ে বাঁচার আর্তনাদ জানিয়েছিলেন নাজিয়া আক্তার (৩১)। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। নির্মম অগ্নিকাণ্ডে দুই শিশুসহ মারা গেছেন তিনি।
জানা গেছে, দুই সন্তান আয়ান (৮) ও আয়াতকে (৬) নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বেইলে রোড এলাকায় থাকতেন নাজিয়া আক্তার (৩১)। তার স্বামী মো. আশিক পেশায় ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্যবসার কাজে বনানীতে যান তিনি। সে সময় দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান নাজিয়া। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বামীকে ফোন দিয়ে আগুনের ঘটনা জানান।
পরে তৃতীয় তলার সিঁড়ি থেকে আয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগুনে নাজিয়া ও আয়তও মারা যায়। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তাদের মরদেহ রাখা হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়েছেন নাজিয়ার আত্মীয় রিফাত হোসেন। ঘটনার সময় ওই ভবনের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ ভবনটির নিচতলায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য