শনিবার ২১ জুন, ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ণ

হজ কবুলের জন্য ১৩টি উপায় অবলম্বন করতে পারেন

৩০ মে, ২০২৫ ৩:০৯:১৩
ফাইল ছবি

আপনি কি এ বছর হজ করতে যাচ্ছেন? তাহলে যথাসাধ্য চেষ্টা করুন আল্লাহ তায়ালা আপনার হজটি যেন কবুল করেন এবং তা হজ্জে মাবরুর হিসেবে আল্লাহ তায়ালা কাছে উপস্থাপিত হোক।

হজ কবুল হয়েছে এমন ব্যক্তির জন্য মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহান সুসংবাদ দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—

নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘হজে মাবরুরের (গ্রহণযোগ্য হজ) প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়’। ( সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)

হজে মাবরুর বা আল্লাহ তায়ালা কাছে হজ গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য ১৩ টি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে পারেন—

১. নিয়ত ঠিক করা। যেকোনো আমল গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য বিশুদ্ধ নিয়ত জরুরি। হজও এর ব্যতিক্রম নয়। এতে রিয়া বা লোক দেখানো হজ করা যাবে না। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করা উচিত।

২. হালাল উপার্জনের টাকায় হজ করা। ইসলামে হারামের কোনো স্থান নেই। হারাম উপার্জনকারীর জন্য পরকালে কোনো অংশ নেই। হালাল বিষয়কে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইসলামে। হজও হালাল টাকায় করতে হবে। হজের খরচ যেন অবৈধ বা সন্দেহজনক উৎস থেকে না হয়। এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩. দেনা-পাওনা পরিশোধ করা। দেনা-পাওনা বা ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করা জরুরি। বান্দার হক ঠিকমতো আদায় না করলে ইবাদত কবুল হবে না। তাই হজের যাওয়ার আগে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এবং কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

৪. হজের মাসায়েল শেখা। সঠিকভাবে হজ পালনের জন্য এবং আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য হজের নিয়ম-কানুন ও কার্যপদ্ধতি আগে থেকেই জেনে নিতে হবে।

৫. নিজের অনুপস্থিতিতে পরিবার-পরিজনের ভরণপোষনের খেয়াল রাখা।

৬. অসিয়ত লেখে রাখা। হজের সফরের আগে নিজের জীবনের দেনা-পাওনা ও দায়িত্ব সম্পর্কে অসিয়ত লেখে যাওয়া উচিত।

৭. পরিবারকে উপদেশ দেওয়া। নিজের অনুপস্থিতিতে পরিবার যেন দ্বীনের ওপর চলে এবং আল্লাহভীতি ও সৎপথে চলে সেই উপদেশ দিয়ে যাওয়া।

৮. হজের জন্য উত্তম সঙ্গী বেছে নিন। হজের সফর ঝামেলামুক্ত রাখতে এবং পুরো সময় আমল-ইবাদতে কাটাতে আলেম, দ্বীনদার এবং সঠিক ধর্মীয় বুঝ আছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গী করা জরুরি।

৯. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা। হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু ইবাদত নয় বরং ইসলামের অন্যতম একটি স্তম্ভ ও আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের উপায়। তাই এই সময় বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা উচিত এবং ইবাদতে কাটানো উচিত।

১০. ধৈর্য ধারণ করা। হজের পুরোটা সময় শারীরিক শক্তি ব্যয় হয়। একই সঙ্গে অর্থও খরচ হয়। তাই হজের সফরে ধৈর্য না হারিয়ে সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে।

১১. আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে হবে। হজের সফরে একজন মুসলমান আল্লাহ তায়ালার ঘরের নিকটবর্তী হন। অনেক মুসলমান দূর দেশ থেকে মক্কায় যাওয়ার সুযোগ পান না। হজের বদৌলতে কাছ থেকে কাবা দেখা ও রাসূল (সা.) এর রওযা জিয়ারতের সুযোগ পান। এ সময় আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা বাড়ানো উচিত।

১২. হজের আধ্যাত্মিক দিকগুলো অনুধাবন করুন।হজের প্রতিটি কাজের অন্তর্নিহিত শিক্ষা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত।

১৩. সময়ের সদ্ব্যবহার করা। হজের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে হবে। ফেসবুক বা মোবাইল গেম খেলার মতো অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। আমল-ইবাদত এবং ভালো কাজে সময় কাটাতে হবে।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD