পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে ‘পালাল’ ভারতীয় রাফায়েল

ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেট বিমানের তাড়া খেয়ে কাশ্মীরে টহলরত ভারতীয় রাফায়েল পিছু হটেছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন এই খবর দিয়েছে।
সম্প্রতি পাহেলগ্রামে হামলার ঘটনায় কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তোলে ভারত। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সরকার ভারতের এই অভিযোগকে প্রত্যাখান করে আসছে। একই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সামরিক বাহিনীকে ভারতীয় যেকোনা আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাহেলগ্রামের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে যেকোনো ধরনের অভিযানের স্বাধীনতা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে পিটিভি ও রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) অতিক্রম না করে চারটি ভারতীয় রাফায়েল রাতভর আকাশে টহল দিয়েছে।
রেডিও পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় রাফায়েলের উপস্থিতি টের পায়।
পিটিভি বলেছে, “পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নিলে ভারতীয় বিমানগুলো আতঙ্কিত হয়ে পিছু হটে।”
নিরাপত্তা সূত্র আরও বলেছে, “সামরিক বাহিনী ভারতীয় যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।” তবে সরকার ও সামরিক বাহিনী ওই ঘটনার বিস্তারিত জানায়নি।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আজ সকালে বলেছিলেন, “ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা’ সূত্রে জানা গেছে।”
গত রাত ২টায় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারার বলেন, “পাহেলগ্রামের ঘটনায় ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা’ সূত্রে জানা গেছে।”
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। হামলাটি ২০০০ সালের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য