এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনকারী একাংশ।
 
এদিকে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনটি কমিটি থেকে অর্ধশতাধিক সদস্য পদত্যাগ করেছেন এবং ওই কমিটিগুলোকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি নতুন কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।

গতকাল সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ৩১৫, জেলা উত্তরে ১১২, জেলা দক্ষিণে ৩২৭ সহ মোট ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক জুবায়ের মানিক অভিযোগ করেন, এই তিনটি কমিটি প্রহসনের। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের মূল্যায়ন করা হয়নি, বরং চাঁদাবাজ, নারী হেনস্থাকারী ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদও এই কমিটির বিষয়ে কিছু জানেন না। অথচ খান তালাত রাফির ইন্ধনে আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এই কমিটি গঠন করেছেন। আমরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।

এদিকে আরেক সমন্বয়ক আব্দুল বাছির নাঈম তিন দফা দাবি তুলে ধরেন- ১. বিকেল ৩টার মধ্যে বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে তিনদিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিটি গঠন করতে হবে। ২. অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩. কমিটি গঠনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।