ঘুষের টাকা কম দেওয়ায় এসআইয়ের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ

ছবি: প্রতিনিধি, সংবাদ বেলা

আবিদ হাসান, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ: ঘুষের টাকা কম দেওয়ায় রেগে গিয়ে বাড়ির উপর গিয়ে নারীদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে উপ- পরিদর্শন আয়নালের বিরুদ্ধে। তিনি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় কর্মরত আছেন।

জানা যায়, উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া গ্রামে গত এক মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে এক পরিবার থানায় অভিযোগ ও আরেক পরিবার কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যমে মিমাংসা করে দুই পরিবার। এর পর গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কাঙ্খিত টাকা না দেওয়ার কারণে হরিরামপুর থানার উপ- পরিদর্শন আয়নালসহ একজন কনস্টেবল নিয়ে শেখ জাহিদের স্ত্রী কইতরি বেগম ও তার মা আলেয়া বেগমের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং নানাভাবে ভয় দেখান বলে অভিযোগ করেন পরিবারটির সদস্যরা।
অপরদিকে আব্দুল ছামাদের কাছে থেকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে প্রথমে তিন হাজার এবং গত সোমবার রাস্তা খরচের কথা বলে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় আয়নাল।

শেখ জাহিদ বলেন, ঝগড়ার ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করার পর এস আই আয়নাল আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে আমি তাকে ৩ হাজার টাকা দেই । গত সোমবার তিনি আমার বাড়িতে এসে আমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার মা ও স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করে ।

শেখ জাহিদের মা আলেয়া বেগম বলেন,”ওই পুলিশ এসে আমাকে ধমকিয়ে ধমকিয়ে আইডি কার্ড আনতে বলেছেন। কেস হওয়ার পর আমার বড় ছেলের কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন।

জাহিদের স্ত্রী কইতরি বেগম বলেন, আমি রান্না করেছিলাম তিনি প্রথমে এসে বলেন আমাকে চিনেন ? আমি পরে না করার পরে বলে আমি দারোগা। পরে আমি আর আমার শাশুড়ি কথা বলতেছি সে আমাদের ধমক দিয়ে বলে, ওই মহিলা মানুষের এতো কথা কিসের? যান আইডি কার্ড নিয়ে আসেন। তারপর আমার বাবা আমাদের বাড়িতে আসলে তাঁকেও নানা রকম জেড়া করেন।

আব্দুল ছালাম বলেন, ঝগড়ার পর জাহিদরা থানায় মামলা করার পর দারোগা আইনাল আমাদের বাড়ি তদন্তে আসলে মেম্বারকে দিয়ে ৩ হাজার টাকা দেই । পরে এই তারিখে আমার মামলার তদন্তে আসলে ভয়ে আমি ২ হাজার টাকা দিয়েছি।

এবিষয়ে হরিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক আয়নাল বলেন, আমি তদন্তে গিয়েছিলাম, কারো কাছে থেকে কোন টাকা আমি নেই নাই।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোহাম্মদ মমিন খান বলেন,এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন , এ বিষয়ে আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। কোন পুলিশ সদস্য যদি টাকা নিয়ে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।