বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগ সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২:৪৩:৩৯

আওয়ামী সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটা নমুনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার আয়না ঘর নামে পরিচিত বিগত আওয়ামী সরকারের গোপন বন্দীশালা ও টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নৃশংস অবস্থা, প্রতিটি জিনিস যে রয়েছে এখানে। যতটা শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়, এটা কি আমাদের জগৎ, আমাদের সমাজ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে আছে এখানে, তাদেরর মুখে থেকে শুনলাম কিভাবে হয়েছে। কোন ব্যাখা নেই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে। বিগত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা নমুনা। আমরা দেশের অবনতির চূড়ান্ত যে রূপ দেখলাম সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা প্রতিচ্ছবি।

আয়না ঘর পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

সর্বশেষ

এবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রুজু করা মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সবাইকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট। একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে। অপরাধ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.সরওয়ার বলেন, ঢাকা মহানগরীর শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ ও ক্রাইম বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে মাঠপর্যায়ে থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে। এদিকে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সবাইকে প্রাপ্য সর্বোচ্চ আইনানুগ সেবাটা দিতে হবে।

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD