শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কর্মসূচি ঘোষণা ◈ প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহিদ আমার এই ভাই, আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত ◈ গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত কাশেম মারা গেছেন ◈ ভারতে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি, সরকারকে আল্টিমেটাম! ◈ এবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রুজু করা মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সবাইকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট। একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে। অপরাধ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.সরওয়ার বলেন, ঢাকা মহানগরীর শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ ও ক্রাইম বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে মাঠপর্যায়ে থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে। এদিকে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সবাইকে প্রাপ্য সর্বোচ্চ আইনানুগ সেবাটা দিতে হবে।

পানি সেচে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যা পাওয়া গেল

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৩৪:০৭

এবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবনের পাশে ‘আয়নাঘর’ সন্দেহে নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্ট থেকে পানি সেচ শেষ হলেও সেখানে পাওয়া গেল না সন্দেহজনক কিছুই। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার আগমুহূর্তে এই সেচকাজ শেষ হয়।

তবে এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্যও দেওয়া হয়নি। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ভবনের সেচ কার্যক্রম শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। একটি সেচযন্ত্রের মাধ্যমে এই পানি সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলা থেকে সেচযন্ত্রের সাহায্যে পানি তুলে ধানমন্ডি লেকে সেই ফেলা হয়। এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের নিচে থেকে সেচযন্ত্রের মাধ্যমে তোলা হয়েছে পানি। আন্ডারগ্রাউন্ডে নোংরা আবর্জনা ও ভাঙা ইটের টুকরা দেখা গেছে।

এর আগে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও পাশের দুটি ভবনে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ ঘটনার পরই সন্ধান মেলে পাশের একটি ভবনের নিচে দীর্ঘ আরও কয়েকতলা ফ্লোরের। অনেকে এই আন্ডারগ্রাউন্ডে ‘আয়নাঘর’ আছে বলে সন্দেহ পোষণ করেন।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য