শুক্রবার ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ণ

সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে পারে রেস্তোরাঁ

৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ৯:৩৪:৪১
ফাইল ছবি

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধেরও হুমকি দিয়েছেন মালিকপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এই আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার করের আওতা না বাড়িয়ে বা কর ফাঁকি রোধ করার ব্যবস্থা না করে অর্থবছরের মাঝামাঝি হঠাৎ তিনগুণ ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।

জানা গেছে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বর্তমানে সাধারণ মানের এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এটি বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া নন-এসি হোটেলের ভ্যাট ৭.৫ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে এনবিআর জানিয়েছে, যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায় সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে না এবং মূল্যস্ফীতিতেও প্রভাব পড়বে না। জনস্বার্থে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শুল্ক কর হারে ব্যাপক ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং জাতি হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও হার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

৭০ শতাংশ রেস্তোরাঁ এখনো ভ্যাটের আওতার বাইরে জানিয়ে ইমরান হাসান বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে সরকার ঘাটতি মেটাতে পারে। আইএমএফ এর শর্ত মানতে গিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো দেশের জনগণের ওপর ইচ্ছে মত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কোনো পূর্ণাঙ্গ সমাধান হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত হলো প্রত্যক্ষ কর। যে যত বড় ধনী, তাকে তত বেশি আয়কর দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে করের আওতা না বাড়িয়ে ভ্যাটকে রাজস্ব আয়ের প্রধান হাতিয়ার করা হয়েছে। বর্তমানে ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে গড়ে সাড়ে তিন লাখ প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট দিয়ে থাকে। এর বাইরে যে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD