রবিবার ৮ জুন, ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ণ

পাগলা মসজিদে ‘প্রেম-বিয়ে’ চেয়ে এক বস্তা চিঠি

১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:৩০:৩৭
ছবি: সংগৃহীত

এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা এবং এক বস্তা চিঠি। এসব চিঠিতে ভক্তরা তাদের নানা মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আকুতি জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পর এসব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়, যেখানে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়, যার মোট পরিমাণ ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এর সঙ্গে পাওয়া গেছে এক বস্তা চিঠি, যেগুলিতে আল্লাহর কাছে লেখা ছিল নানা মনোবাসনা।

একটি চিঠিতে একজন নারী আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন, হে মহান আল্লাহ, আমি একজন সৌদি নাগরিককে ভালোবাসি, তাকে আমার জীবনে আনুন, আমি যেন তাকে বিবাহ করতে পারি।

অন্য একটি চিঠিতে লেখা রয়েছে, হে আল্লাহ, আমি ও আমার পাতিবাবু সারাজীবন একসাথে থাকতে চাই, আমাদের মধ্যে যেন কোনো বাধা না আসে, আর আমরা যেন সরকারি চাকরি পাই।

এছাড়া, আরও এক চিঠিতে একজন ব্যক্তি তার প্রেমিকার প্রতি অভিমান ব্যক্ত করে লিখেছেন, প্রিয় খাদিজা আক্তার লিপি, তুমি আজ নেই, কিন্তু তোমার দেওয়া স্মৃতি নিয়ে বাঁচবো।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা জানান, এ মসজিদে দান করলে এবং ফরিয়াদ করলে মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ হয়, সে কারণেই এখানে অনেক চিঠি আসে।

তিনি আরও বলেন, এবার দানবাক্সে শুধু টাকা নয়, অনেক চিঠি পাওয়া গেছে, যা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদ প্রায় আড়াইশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে যে, এখানে মানত করলে আল্লাহ তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করেন।

এছাড়া, পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকা ও চিঠি ছাড়াও স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী পাওয়া যায়।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD