তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘুচায় পাকিস্তান। ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হারের সে প্রতিশোধ টি-টোয়েন্টিতে নিলো অজিরা। প্রথম দুই ম্যাচে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও দাপুটে জয়ে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলেরিভ ওভালে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সফরকারীদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.১ ওভারে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ১১৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৫২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জশ ইংলিসের দল।

এদিন বিশ্রামে ছিলেন পাকিস্তানের নিয়মিত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় অধিনায়ককে বিশ্রামে পাঠানো হয়। তার জায়গায় পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেন সালমান আলী আগা। আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও দ্বিতীয় উইকেটে ভালো প্রতিরোধ গড়ে দলটি।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জোড়া ৩ রানে আউট বাবর আজম অবশ্য এদিন টিকেছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে হাসিবউল্লাহ খানের সঙ্গে ৪৪ রানের একটি ভালো জুটিও গড়েন। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর বলার মতো আর কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। ফলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ড হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ২৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে সাজান নিজের ইনিংস। ২৪ রান আসে হাসিবউল্লাহর ব্যাট থেকে।

শেষদিকে ১৬ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান অ্যারন হার্ডি। এছাড়া ২টি করে শিকার স্পেন্সার জনসন ও জাম্পার।

১১৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩০ রানে দুই ওপেনারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইংলিসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মার্কাস স্টয়নিস। ৫৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর ইংলিস ফিরে গেলে বাকি কাজ টিম ডেভিডকে নিয়ে শেষ করেন স্টয়নিস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। ২৭ বলে সমান ৫টি করে চার ও ছক্কায় এই ইনিংস সাজান তিনি। ২৭ রান করেন ইংলিস।