জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল মসজিদ ছাড়ল সাদপন্থীরা
ছবি: সংগৃহীত
কাকরাইল মসজিদে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে মোনাজাতের পর তারা মসজিদ ছাড়তে শুরু করেন এবং কিছু সময়ের মধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করে কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১টার পর অবস্থান ছাড়তে শুরু করেন সাদপন্থীরা। এর আগে ১২টার আগে থেকেই নামাজের প্রস্তুতি নেন তারা। এ সময় উপস্থিত ইমামদের বয়ানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় খুদবা।
সাদ অনুসারীদের এটিই হবে সব থেকে বড় জামায়াত খুদবার বক্ত্যবে এমনটাই জানিয়েছিলেন নামাজের ইমাম। পরে নামাজ শেষে মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের অবস্থান ছেড়ে গন্তবে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইমাম।
এ সময় আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় মজমার ঘোষণা দেন ইমাম। তিনি জানান, দেশ বিদেশের হযরতরা আসবেন সে মজমায়। আলোচনা হবে তাবলিগ জামায়াতের মেহনত ও সমসাময়িক বিষয়ে।
এর আগে এদিন সকালে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হটিয়ে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
এদিন সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদের সামনে অবস্থান নেন সাদপন্থীরা। সকাল ৮টার পরে মসজিদে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা। এ সময় কাকরাইল মসজিদে সামনে থেকে বিচারপতির বাস ভবন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভি আই পি সড়কসহ আশে পাশের বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় বসে পড়েন সাদ অনুসারীরা।
জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেদিন কাকরাইলে দু’দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। চরম বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় গত ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
তবে মসজিদের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা ১২ মাসই নিজেদের দখলে রাখেন। সাদপন্থিদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হেফাজত সমর্থিত জুবায়েরপন্থিরা বেশি সুবিধা ভোগ করে আসছেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ নিয়েও দুই পক্ষের বিরোধ দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য