গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে। আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এ পর্ব শেষ হবে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি)। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

এদিকে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে টঙ্গীর তুরাগ নদীর ওপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫টি ভাসমান ব্রিজ তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের ওযু ও খাবার পানির জন্য সেনাবাহিনীর ২টি ওয়াটার বাউজার সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করবে। সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইজতেমা এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে এসব জনকল্যাণমূলক কাজ সম্পন্ন করছে। এর পাশাপাশি ইজতেমা এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কর্তৃক একটি বোম্ব ডিসপোজাল দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, যেকোনো জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের মতো এবারও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিশ্ব ইজতেমা এলাকায় ভাসমান ব্রিজ ও ওয়াটার বাউজার স্থাপন করা হয়েছে।