মুসলিমদের পাশাপাশি ট্রাম্পকে চান বাংলাদেশি ভোটাররাও

আর মাত্র কয়েক প্রহর বাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। শেষদিনের প্রচারণা শেষ ইতোমধ্যে। এবার কথা বলবে ব্যালট। অবশ্য ইতোমধ্যে আগাম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৭৭ মিলিয়নের বেশি নাগরিক। জনমত জরিপগুলো বলছে, মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে; যেখানে একদিকে প্রত্যাবর্তনের অনন্য এক লিখতে মুখিয়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প
আর অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসও আশায় বুক বেঁধে আছেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কিন ইতিহাসে নাম লেখাতে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকেন অভিবাসীরা। জনমত জরিপগুলো বলছে, এই ভোটব্যাংকের বড় একটি অংশ ইতোমধ্যে ঝুঁকে পড়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত আরব মুসলিমদের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও আছেন এ দলে। গাজা-লেবাননে ইসরায়েলি দখলনীতির সম্প্রসারণে বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকার কারণে তারা আস্থা হারিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি, এবার যাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন কমলা হ্যারিস। আরব মুসলিমদের পাশাপাশি বাংলাদেশি অভিবাসী অনেকেরই বিশ্বাস, কমলা হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করলে, বাইডেন প্রশাসনের নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন তিনি।
তবে, বাংলাদেশি ভোটারদের মূল মাথাব্যাথা যুক্তরাষ্ট্রে চলমান মূল্যস্ফীতি নিয়ে। তাদের মতে, গেল চার বছরে আয়ের তুলনায় তেলের দাম, বাড়িভাড়া আর খাবারের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
অর্ধযুগ ধরে ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন বাংলাদেশি নিনুন নাহার। ছোট পরিবার। তবে বাইডেন প্রশাসনের ওপর বেশ ক্ষোভ এই নারীর। তার দাবি, সব কিছুর দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
মিয়ামি শহরে প্রায় দেড় দশক ধরে ব্যবসা করছেন সোমানা মালিক। তিনিও ক্ষিপ্ত ডেমোক্রেটদের ওপর।
ফ্লোরিডায় প্রায় এক লাখ বাংলাদেশির বসবাস। তেমনই আরও একজন জে আব্দুল্লাহ। তারও দাবি, ভোট দেবেন না ডেমোক্র্যাট পার্টিকে। নতুন সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা এখানকার বাংলাদেশি অভিবাসীদের। বিশেষ করে কর কাঠামোর পুনর্বিন্যাস চান তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক অভিবাসী অধ্যুষিত রাজ্য নিউ ইয়র্ক। মূলত পুরো যুক্তরাষ্ট্রে যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই এ রাজ্যে। এখানকার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টির ওপর হতাশ তারা।
জিয়া হাসান। নিউ ইয়র্ক সিটিতে দুই যুগের বেশি সময় ধরে বাস করছেন বাংলাদেশি এ আইটি পেশাজীবী। তিনি বলেন, গত চার বছরে যেভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, সেভাবে আয় বাড়েনি মানুষের।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য