মঙ্গলবার ৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, শেষ হাসি কে হাসবেন- কমলা নাকি ট্রাম্প

৫ নভেম্বর, ২০২৪ ৯:৪৯:১৯
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে আর কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হবে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ; আর এই ভোটের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এবং কমালা হ্যারিস কিংবা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প
কে যাবেন সাদা বাড়িতে, সেদিকেই নজর পুরো বিশ্বের। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা সেই নির্বাচনে আজ চূড়ান্ত রায় দেবেন মার্কিনীরা। যদিও গত অক্টোবর থেকেই শুরু হয়েছে আগাম ভোটদান। রোববার পর্যন্ত সাড়ে ৭ কোটি ভোট পড়েছে। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আমেরিকায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে।

বিভিন্ন সমীক্ষায় একে অপরকে পিছনে ফেলছেন ৬০ বছর বয়সী কমলা ও ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তবে তাদের দুই জনেরই ভাগ্য নির্ধারণ হবে সাতটি অনিশ্চিত বা দোদুল্যমান রাজ্যের ফলাফলের ভিত্তিতে। পাশাপাশি আজ ভোট গ্রহণ হবে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৩৪ আসনে এবং নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সব কটিতে।
উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা ভাষাও। এদিকে এবারের নির্বাচন নানা দিক থেকেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইউক্রেন থেকে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ পরিস্থিতি, চীন, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশ্বের সামরিক শক্তির নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক বিষয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নির্ভর করবে এই নির্বাচনের ফলাফলে। দেশটিতে ২৪ কোটি ৪০ লাখ নাগরিক ভোটদানের যোগ্য, নিবন্ধিত ভোটার ১৬ কোটির মতো। ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটার সংখ্যা ৫৩৮। মেইন এবং নেব্রাস্কা এই দুটি রাজ্য বাদে বাকি সবগুলোর ইলেকটোরাল ভোট যোগ করলে যে প্রার্থী ২৭০টি পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সেই প্রার্থীর রানিংমেট হয়ে যাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। কমলার রানিংমেট টিম ওয়ালজ এবং ট্রাম্পের রানিংমেট জেডি ভ্যান্স।

আছেন আরও চার প্রার্থী

কমলা ও ট্রাম্প ছাড়াও আরও চার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দেবেন ভোটাররা। তারা হলেন গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, গ্রিন পার্টি থেকে জিল স্টেইন ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন কর্নেল ওয়েস্ট। লিবার্টারিয়ান পার্টি চেজ অলিভার। এছাড়া আছেন রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। তার পক্ষে এবারের নির্বাচনে ৫-৭ শতাংশ সমর্থন ছিল। কিন্তু গত আগস্টে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তার নাম ব্যালট থেকে সরাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

ভোটদানের পদ্ধতি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যেই ভোটের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তা পরস্পরের থেকে আলাদা। মোটের ওপর ভোটাররা তিনটি প্রাথমিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রথমত, হ্যান্ডমার্ক করা কাগজের ব্যালট :সবচেয়ে প্রচলিত এবং সহজ পদ্ধতিতে প্রায় ৭০ শতাংশ কাগজের ব্যালট ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ হয়। দ্বিতীয়ত, ব্যালট মার্কিং ডিভাইস (বিএমডি) :২৫ শতাংশেরও বেশি ভোটার ব্যবহার করেন এই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ভোটদান পদ্ধতি। ভোটারদের একটি স্ক্রিনে বিকল্প নির্বাচন করতে দেয় এবং তারপর তাদের পছন্দ নিশ্চিত করতে একটি কাগজের ব্যালট প্রিন্ট করা হয় এই ব্যবস্থায়। ‘হেল্প আমেরিকা ভোট অ্যাক্ট’ মেনে চালু করা এই পদ্ধতিতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ পদ্ধতিও রয়েছে। তৃতীয়ত, ডাইরেক্ট রেকর্ডিং ইলেকট্রনিক (ডিআরই) :এই পদ্ধতি অনেকটা ইভিএমের মতো। কাগজ ছাড়া ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় জনতার রায় দেওয়া হয়। লুইজিয়ানা এবং নেভাদায় চালু হওয়া পদ্ধতিতে মোটের ওপর ৫ শতাংশ ভোটার আস্থাশীল।

ভোট গণনা হয় যেভাবে

কাগজের ব্যালট এবং বিএমডিতে দেওয়া ভোটগুলো সাধারণত ‘অপটিক্যাল স্ক্যানার’ ব্যবহার করে স্ক্যান করা হয়। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফলাফল নথিভুক্ত করা যায়। এই প্রক্রিয়াটি একটি প্রাদেশিক স্তরের নির্বাচন কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করেন। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণনার পাশাপাশি প্রয়োজনে হাতে ভোট গণনারও ব্যবস্থা আছে। এছাড়া আগাম ভোটের ক্ষেত্রে চালু ‘মেইল ইন ব্যালট’ ব্যবস্থায় দেওয়া ভোটের বৈধতা যাচাই এবং গণনার প্রক্রিয়াও রয়েছে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করতে হয়।

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মন্তব্য

Editor & Publisher: Md. Abdullah Al Mamun

Office: Airport haji camp

Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com

Developed by RL IT BD