প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন জোর করে ৬ বার পরিবর্তন করা হয়: চিকিৎস

১ নভেম্বর ২০২৪, ২:০৬:২৫

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেছেন, আবু সাঈদের বুক গুলিতে ঝাঁজরা ছিল। সরকারের মনমতো প্রতিবেদন দিতে ঢাকা থেকেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের অপসারণ ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভের সময় ফরেনসিক প্রতিবেদন টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাকে ঢাকা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, তুমি সরকারি চাকরি করে কীভাবে সরকারের বিপক্ষে এই রিপোর্ট দিতে পারো। চূড়ান্ত প্রতিবেদন যখন দিতে যাই, তার আগে ছয়বার প্রতিবেদন পরিবর্তন করানো হয়েছিল। সে সময় রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহফুজার রহমান চার্জে ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের লোকও ছিলেন। তাদের সামনেই আমাকে বাধ্য হয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।

ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ওনারা (ডা. মাহফুজসহ উপস্থিত অন্যরা) চেয়েছিলেন আমি যেন হেড ইনজুরি দিয়ে ইউরেজোনিক শক দেখিয়ে দেই। কিন্তু আমি তাদের চাপের কাছে মাথানত করিনি। আমার রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, দ্য ডেড ওয়াজ ডিউ টু অ্যাভোব মেনশন ইনজুরিস হুইচ ওয়াজ এন্টিমন্টেম অ্যান্ড হোমিসাইডাল।

তিনি বলেন, সবাই ভাবছে হেড ইনজুরির (মাথার আঘাত) কারণে আবু সাঈদ মারা গেছে। হেড ইনজুরি হলে সাধারণত ব্রেনে রক্তক্ষরণ থাকে। স্ক্যামবোল ফ্রাকচার থাকে। সাঈদের ক্ষেত্রে এগুলো কোনটাই ছিল না। আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। আমাকে নানাভাবে ভয় দেখানো হয়েছে।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: ক্লাসের মধ্যেই দুগ্ধ পান করিয়ে ভাইরাল শিক্ষার্থী!

Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্য