নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শেরপুরে নিহত ৯

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাস্তার ধারে খেলতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় ময়মনসিংহ ও শেরপুরে পানির স্তর কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে ভূমিধসের কারণে নেত্রকোনায় এখনও পানি বাড়ছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, ঢলের পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি মানুষের। জেলার ৫ উপজেলার দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। উজানের পানি বিভিন্ন নদ-নদী হয়ে বইছে ভাটির দিকে। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন হাজারো মানুষ। তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজন বলছেন, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ডুবে গেছে।
এ দিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। ভোগাই নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। শেরপুর জেলার ভোগাই নদ, নাকুয়াগাঁও এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে নেত্রকোণায়। সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলেও উব্দাখালী নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। বেড়েছে কংস নদীর পানিও। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
দুর্গাপুর, কলমাকান্দাসহ ৫ উপজেলার দেড়শতাধিক গ্রাম পানিবন্দি। এতে নেত্রকোণায় পানিবন্দি হয়ে আছেন কয়েক লাখ মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ফসলের মাঠ-মাছের ঘের।
Sangbad Bela’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বশেষ
Office: Airport haji camp
Phone: +8801712856310 Email: sangbadbela@gmail.com
Developed by RL IT BD
মন্তব্য